ফের লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি। বীরভূমের তারাপীঠ রোড স্টেশনের কাছে কয়লাবোঝাই মালগাড়িটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরফলে ওই লাইনে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় লাইনচ্যুত মালগাড়ির ৪ বগি, আটকে পড়ল বহু ট্রেন, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
জানা যাচ্ছে, মালগাড়িটি এদিন কয়লাবোঝাই করে সাঁইথিয়া থেকে রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। তারাপীঠ স্টেশনের কাছে আসতেই ঘটে বিপত্তি। মালগাড়ির একটি বগির চাকা ভেঙে যায়। এরপর মালগাড়িটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সকাল ৯.৪৫ টা নাগাদ। যদিও দুর্ঘটনায় কোনও আহত বা নিহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এর জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। এই লাইনে আসা একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টা খানেক এই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে।
মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে শিয়ালদা-শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভাগলপুর বন্দেভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া-আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে, খবর পেয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা সেখানে পৌঁছে গিয়ে রেললাইন। তাঁরা মালগাড়িটিকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করেন।
পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারাপীঠ রোড স্টেশনের কাছে আপ মেইন লাইন থেকে আপ লুপ লাইনে যাওয়ার সময় মালগাড়ির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। মালগাড়িটি গোড্ডায় যাচ্ছিল। এর ফলে ওই লাইন অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ইঞ্জিনিয়ার ও রেলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ১০.৫০ টা নাগাদ মালগাড়ি সেখান থেকে সরানো হয়। তারপরেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি। রেলের দাবি, দুটি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এগুলি হল আপ ১৩০১৭ গণদেবতা এক্সপ্রেস এবং আপ ১৩১৭৫ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনকে অল্প সময়ের জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এদিন মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়াকে কেন্দ্র করে ভিড় জমে স্থানীয়দের। পরে আরপিএফ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলায় মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গত নভেম্বরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পিয়ারডোবা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়েছিল মালগাড়ি। আদ্রা-খড়গপুর লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।