বঙ্গে এখন বেশ গরম। গলদঘর্ম অবস্থা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বর্ষা আসতে এখনও তিন মাস বাকি। আর বর্ষা এলে দুর্যোগ দেখা দেয়। সেটা মোকাবিলা করতেই আস্ত একটা গাছের শুধু কান্ডটা রেখে কেটে ফেলা হয়েছে বাকি সমস্ত ডালপালা! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবে ঘটেছে। যা দেখার পর রীতিমতো আন্দোলনে নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন আমজনতা। এই গ্রীষ্মে একটু গাছের ছায়া পেতে মানুষ হন্যে হয়ে ঘোরে। সেখানে এভাবে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে রেলের বিরুদ্ধে।
এদিকে আজ, রবিবার বৈঁচীগ্রাম স্টেশনে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। অমানবিকভাবে এবং নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এবার সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চৈত্রের শুরুতেই চাঁদি ফাটা গরম সহ্য করতে হচ্ছে সকলকে। হিমশিম অবস্থা হচ্ছে রাস্তায় বেরিয়ে। দুপুরের পর মানুষ দেখা যাচ্ছে না পথেঘাটে। জনমানবশূন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে কালবৈশাখী তো দূরের কথা সামান্য ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা নেই। অথচ বর্ষা এলে দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই আগেভাগে দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সেরে রাখছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ১০ জন বিজেপি বিধায়ক নয়াদিল্লি রওনা দিলেন, রাজনৈতিক চমক কটাক্ষ তৃণমূলের
অন্যদিকে এই কথা শুনে সকলের চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা। ঝড়জলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কেটে ফেলা হচ্ছে স্টেশনের বড় বড় গাছের ডালপালা। এই ঘটনা দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। আর এই কীর্তি নিয়েই তৈরি হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। গাছ বাঁচাতে রীতিমতো আন্দোলনে নেমে পড়েছেন স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। গাছের গায়ে নতুন গামছা বেঁধে ফেলা হয়েছে। তারপর ফুল, মালা দিয়ে গাছকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে। হাওড়া–বর্ধমান মেন লাইনে বৈঁচীগ্রাম স্টেশন। এখানের প্রায় ১৮টি বড় গাছকে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। বেশিরভাগ গাছের শুধু কান্ডটাই রয়েছে বলে অভিযোগ।
গাছের এভাবে ডালপালা কেটে ফেলায় প্রচণ্ড রোদে যাত্রীদের দাঁড়াতে হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে বৈঁচিগ্রামের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন আটচালার সদস্যরা স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানান, গাছের ডাল বিপজ্জনক হলে তা অনায়াসে কেটে ফেলা যেত। কোনও সমস্যা হতো না। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টি হলে গাছের ডাল ভেঙে তারের উপর পড়ে। তাতে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। প্রত্যেক বছরই এমন সময় রেল স্টেশনে থাকা গাছের ডাল ছাঁটা হয়। তবে গাছটা থেকে যায়। বর্ষার জল পেলেই গাছ থেকে আবার ডালপালা গজায়। এখন ট্রিমিং করলে কতদিন পরে আবার ডালপালা গজাবে সেটা বুঝেই গাছ ট্রিমিং করা হয়। গাছের কোনও ক্ষতি করা হয় না।’