মেয়ের দেহ উদ্ধারের পরে দু'সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পরও কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ফোনের লক খুলতে পারেনি বলে দাবি করলেন তাঁর বাবা-মা। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের সাক্ষাৎকারে তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, '(মেয়ের ফোন) সিবিআই পেয়েছে। এখনও খুলতে পারেনি বলছে। হ্যাঁ। (ফোন লক করা ছিল)। ফোনের প্যাটার্নটা আমিও জানি না। আগের ফোনে আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া ছিল। এটায় ছিল না।'
কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে তরুণীর ফোনে?
তরুণী চিকিৎসকের ফোন থেকে কি রহস্যের কোনও উদঘাটন হবে? সামনে আসবে নয়া কোনও তথ্য, যা তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে? সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। ওই সংবাদমাধ্যমে তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, ‘হয়তো ছিল, হয়তো বের হবে। আমরা জানি না।’ সেইসময় তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘সিবিআই চেষ্টা করছে ফোন খোলার।’ তবে ফোনের লক খোলার বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি।
CBI-র হাতে তদন্তভার, গ্রেফতারি হয়নি আর কেউ
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ায় একাধিক ফাঁকফোকর থাকার কারণে (সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে) সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
তারপর থেকে এখনও নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ কয়েকজনকে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সঞ্জয়, সন্দীপ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট
তারইমধ্যে সঞ্জয়, সন্দীপ-সহ মোট ছয়জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চাইছে সিবিআই। আগেই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সন্দীপকে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে গিয়ে পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি চাওয়া হয়। তাছাড়া আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চারজন পড়ুয়ারও টেলিগ্রাফ টেস্ট করতে চেয়েছে সিবিআই। যে পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর জন্য সম্মতির প্রয়োজন হয়।