ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) তাদের প্রধান বাসবরাজুর মৃত্যু হয়েছে দলেরই কিছু 'বিশ্বাসঘাতকের' জন্য। এমনই দাবি করল মাওবাদীরা। তাদের দাবি, মান্দ অঞ্চলে সক্রিয় তাদের 'কোর' ইউনিট কিছু সদস্যের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যেই বাসবরাজু প্রাণ হারিয়েছে। সংগঠনটি দাবি করেছে এই 'বিশ্বাসঘাতকদের' মধ্যে পিএলজিএ কোম্পানি নং ৭-ও রয়েছে। তারাই বাসাবরাজুকে নিরাপত্তা দিত। সিপিআই (মাওবাদী)-ও স্বীকার করেছে যে এই অভিযানে ২৭ জন নয়, ২৮ জন 'কমরেড' নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের দুই নিহত মাওবাদীর পরিচয় ভুল বলেছে বলেও দাবি করেছে। (আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চিনের ভূমিকা নিয়ে ইয়র্কার, স্ট্রেট ড্রাইভ খেললেন জয়শঙ্কর)
আরও পড়ুন: 'প্রয়োজনে সেনা হস্তক্ষেপ করবে', এবার ভারতকে চোখরাঙানি পড়শি বাংলাদেশের!
আরও পড়ুন: গলাবাজি করে গলা শুকিয়েছে পাকিস্তানের, ভারতের সামনে কাকুতি মিনতি শেহবাজের!
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি (ডিকেএসজেডসি) এক বিবৃতিতে বাসবরাজুর হত্যার জন্য সংগঠনেরই লোকজনকে দায়ী করেছে। তারা দাবি করেছে, গত ৬ মাস ধরে বাসবরাজুকে নিয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়েছে সংগঠনেরই কিছু সদস্য এবং আত্মসমর্পণকারী প্রাক্তন মাওবাদীরা। এদিকে, সোমবার ছত্তিশগড় পুলিশ নারায়ণপুরে সিপিআই (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক এবং আরও সাতজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। পুলিশ দাবি করে, তাদের মৃতদেহ সংগ্রহের জন্য আইনি পথে সুস্পষ্ট কোনও দাবি জানানো হয়নি। (আরও পড়ুন: দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে 'ধাম' মুছতেই হবে মমতাকে? বড় পদক্ষেপের পথে পুরী)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুড়িয়ে দেওয়া হল হিন্দু গ্রাম, সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে ইউনুস বললেন…
আরও পড়ুন: 'দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়...', করিডোর বিতর্ক নিয়ে সাফ কথা বাংলাদেশ সেনা সদরের
সোমবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে বলা হয়, ছত্তিশগড় পুলিশ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে বাসবরাজুর মৃতদেহ তাঁর আত্মীয় বা পরিচিতদের কাছে হস্তান্তর করতে আগ্রহী নয়। দাবি করা হয়, পুলিশ ভয় পেয়েছিল যে বাসবরাজুর শেষকৃত্য তাঁকে 'মহিমান্বিত' করবে। শত শত মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই বাসবরাজু। তবে ২১ মে ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড শাখার অভিযানে নিহত বাকি ১৯ মাওবাদীর দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কি সত্যি চিনা বিমান ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে? কী বলছে বাংলাদেশ সেনা?)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে 'জোকারদের জামাত' বলে কটাক্ষ, মুনিরদে ধুয়ে দিলেন ওয়াইসি
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাসবরাজুকে সব মিলিয়ে সম্ভবত ৩৫জন রক্ষী ঘিরে থাকত। এদিকে পুলিশ জানায়, সেই অভিযানে নিহত ২৫ জন মাওদাবী ছিল পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) ৭ নম্বর কোম্পানির সদস্য। দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তারা। এদিকে বাসরাজুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অনেকেই পালিয়ে গিয়েছিল।