রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে প্রশ্ন করায় প্রকাশ্যে এক সাংবাদিকের উপর মেজাজ হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা-তথ্য সরবরাহ করা প্রায় স্থগিত করে ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।সম্প্রতি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বেনজির সংঘাতে জড়িয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এরপরেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায়, আপাতত ইউক্রেনকে গোয়েন্দা-তথ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। পরে অবশ্য সেই তর্কাতর্কির ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত বলে পরে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। (আরও পড়ুন: ‘গত ২৪ ঘণ্টায়…’, ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীর)
অন্যদিকে, ওই বিমানে ওয়াশিংটন পোস্টের একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন যে পুতিন কি শান্তি চুক্তির প্রচেষ্টার সময়কালে ইউক্রেন আক্রমণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অসম্মান করছেন বলে মনে করেন? এরপরেই পাল্টা জবাবে ওই সাংবাদিককে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বলেন, 'তিনি কী করেছেন? তিনি কি আমাকে অসম্মান করছেন? আপনি কার সঙ্গে আছেন? আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।' আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই লক্ষ্যে এবার সৌদি আরবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও। যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য তিনি সোমবার সৌদিতে পৌঁছবেন। (আরও পড়ুন: আরও কাছাকাছি ঢাকা-ইসলামাবাদ? বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনায় অভ্যুত্থানের জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন ভারতের সেনাপ্রধান, বললেন...
আরও পড়ুন: সম্পর্ক কি জুড়বে মার্ক কার্নির আমলে? ভারত নিয়ে কী ভাবেন ট্রুডোর উত্তরসূরি
সম্প্রতি ট্রাম্পের অবস্থানও রাশিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় হতে দেখা গেছে। তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া করাই সহজ হবে। এমনকি তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করেন বলেও উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মনোভাবের ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি আলোচনার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।এদিকে মস্কো সূত্রে খবর, পুতিন শর্তসাপেক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারেন। তবে এর জন্য তিনি ইউক্রেনের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নমনীয় মনোভাবের কারণে ইউক্রেনের ওপরও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসার জন্য চাপ বাড়ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।