গুগলের নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ ‘উইলো’, সুপার কমপিউটার ফেল এর কাছে!
2 মিনিটে পড়ুন . Updated: 11 Dec 2024, 04:22 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > টেকটক > গুগলের নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ ‘উইলো’, সুপার কমপিউটার ফেল এর কাছে!
Share গুগল উইলো নামে একটি নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ তৈরি করেছে, যা আশ্চর্যজনকভাবে দ্রুত, পাঁচ মিনিটের মধ্যে একটি গণনা সম্পাদন করতে পারে - এমন কিছু যা আজকের দ্রুততম সুপার কমপিউউটারগুলির 10 সেপ্টিলিয়ন বছর সময় নেবে। পরিসংখ্যানে এটি 10,000,000,000,000,000,000,000,000 বছর। গুগল এই অর্জনকে পদার্থবিজ্ঞানের পরিচিত টাইমস্কেলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো এবং এটি মহাবিশ্বের বয়স ছাড়িয়ে যাওয়া একটি চিত্র হিসাবে বর্ণনা করেছে। একই সময়ে, এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং অনেক সমান্তরাল মহাবিশ্বে কাজ করতে পারে এই বিষয়টির কথা বলে, যা ইঙ্গিত করে আমরা একটি মাল্টিভার্সে বাস করছি। তাহলে, উইলো কি মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন করতে চলেছে? আমাদের কাছে এখনও সেই উত্তর নেই, তবে এটি সেই দিকে একটি পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে ।
উইলোর ক্ষেত্রে কম্পিউটিং নয় কোয়ান্টাম!
কোনও স্মার্টফোন চিপ নয়, গুগলের টেনসর জি 4 পিক্সেল 9 সিরিজ বা ইন্টেল লুনার লেক চিপগুলির মতো কোনও স্মার্টফোন চিপ নয়। পরিবর্তে, এটি একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ, পদার্থবিজ্ঞান এবং কণা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে। এই চিপটি একটি ব্যবহারিক, বৃহত আকারের কোয়ান্টাম কমপিউউটারতৈরির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ডেভেলপমেন্ট হয়েছে।
গুগল কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে "প্রকৃতির অপারেটিং সিস্টেম" হিসাবে উল্লেখ করে, যার লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে ত্বরান্বিত করতে এবং মানবতার সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলিকে সমাধান করার। এই সাফল্য এমনকি এলন মাস্কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) এ বাহবা দিয়েছেন।
কিউবিটগুলি কী এবং কীভাবে তারা ঐতিহ্যবাহী কম্পিউটিং ইউনিট থেকে পৃথক
সাবেক কম্পিউটিংয়ে, মৌলিক ইউনিটটি 0 বা 1 দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয় - ট্রানজিস্টর চালু বা বন্ধ হওয়ার উপর ভিত্তি করে। যাইহোক, "কুইবিটস" বা কোয়ান্টাম বিট, একই সাথে উভয় অবস্থায় থাকতে পারে।
তবে গুগল বলেছে যে কুইবিটগুলির সাথে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা রয়েছে এবং এটি কারণ কিউবিটগুলির পরিবেশের সাথে দ্রুত তথ্য বিনিময় করার প্রবণতা রয়েছে। এটি গণনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সুরক্ষায় অসুবিধা হয়। গুগল বলছে, আপনি যত বেশি কিউবিট ব্যবহার করবেন—অর্থাৎ একটি কমপিউউটার বা চিপসেট যত বেশি শক্তিশালী হবে—তত বেশি ত্রুটি থাকবে।
যাইহোক, গুগল আরও কিউবিট ব্যবহার করতে এবং আরও ত্রুটিগুলি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে সিস্টেমটি আরও কোয়ান্টাম তৈরি করে। গুগল বলেছে যে এই অবস্থাটিকে "থ্রেশহোল্ডের নীচে" হিসাবে উল্লেখ করা হয় - কুইবিটগুলি স্কেলিং করার সময় ত্রুটিগুলি হ্রাস করে। গুগল বলছে, উইলো তৈরির বিষয়টি খুব বড় কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধাপ।
গুগল উইলো -ভবিষ্যতের প্রথম ধাপ
গুগল জানিয়েছে যে বর্তমানে এটি থ্রেশহোল্ডের নীচে সেট করা প্রথম সিস্টেম এবং এটি একটি চিহ্ন যে ভবিষ্যতে বড় আকারের কোয়ান্টাম কমপিউটার নির্মিত হতে পারে। আশা এটাই যে এটি গুগলের মতো কোম্পানিগুলিকে ব্যবহারিক এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রাসঙ্গিক অ্যালগরিদম বাস্তবায়নের সুযোগ করেদেবে যা প্রচলিত কমপিউটারে চালানো যায় না।
বলা হচ্ছে, উইলোতে বর্তমানে 105 টি কিউবিট রয়েছে। তবে বাস্তব-বিশ্বের বাস্তবায়নের জন্য এটি যথেষ্ট নাও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে বাস্তব-বিশ্বের প্রভাব রয়েছে এমন গণনা সম্পাদন করতে কয়েক মিলিয়ন বা এমনকি বিলিয়ন কিউবিটের প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং এটি অর্জন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগতে পারে।
টেকটক খবর
