এমন ঘটনা আগে শোনা গিয়েছিল বীরভূমে। সেবারও কুকুরের প্রাণ বাঁচাতে অন্য কুকুরের রক্তদানের খবর উঠে এসেছিল। রক্তের এই ‘টান’র আরও এক ঘটনা উঠে এল এবার কলকাতায়। শহরে পশু চিকিৎসার আঙিনায় এক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন চিকিৎসক প্রতীপ চক্রবর্তী। আর তাঁর এই সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এই ঘটনা লিও ও কোকোর। লিওর প্রাণ বাঁচাতে নেওয়া হয়েছিল উদ্যোগ। তার জন্য প্রয়োজন ছিল রক্তের। আর সেই রক্ত দিতে এগিয়ে এল কোকো। এই ‘লিও’ আর ‘কোকো’ দুজনেই কুকুর। লিও, ডোবারম্যান। লিও, জনৈক সত্যজিৎ বিদ্যার্থীর ১০ মাস বয়সী পুরুষ পোষ্য। লিওর শারীরিক সমস্যা রক্ত নিয়ে। সে 'রক্তের রোগে আক্রান্ত' , পোস্টে এমনই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের পোস্টে লিও সম্পর্কে লেখা রয়েছে, লিওর ‘ হিমোগ্লোবিন কাল ৩এ নেমেছিল। জরুরী ভিত্তিতে রক্ত দেওয়া দরকার ছিল।’আর লিওকে সুস্থ করতে এগিয়ে এল কোকো। কোকো হল গোল্ডেন রিট্রিভার। জনৈতিক ঋষিকান্ত দাসের আদরের পোষ্য এই কোকো। লিওর মতো কোকোরও বয়স ১০ মাস। তবে কোকো ‘ফিমেল’ কুকুর। দুই সারমেয়কে ঘিরে 'রক্তের সম্পর্ক' তৈরি হওয়ার এই ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। এবার আসা যাক, লিওর খবরে। কেমন আছে লিও? কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে জানাচ্ছেন, লিও কাল রক্ত পেয়ে একটু সুস্থ রয়েছে। এরপর লিওর ডায়ালিসিস ও কেমোথেরাপি হওয়ার কথা। এহেন চিকিৎসাটি কোথায় হয়েছে তারও হদিশ দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের এই নেতা জানাচ্ছেন,'গোটা চিকিৎসা চলছে অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাবে, প্রতীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে।' সেখানে ‘ পোষ্যদের চিকিৎসার আধুনিক সব যন্ত্র বসিয়েছেন প্রতীপ।’কুণাল তাঁর পোস্টে লিখেছেন,' কিছুদিন আগেই এটির এই শাখার উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। সেই ইউনিট যে এত জটিল চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে, জেনে একজন পোষ্যপ্রেমী হিসেবে ভালো লাগল।'সাধারণত কুণাল ঘোষের পোস্ট মানেই, তা রাজনীতির আঙিনার অন্যতম খবর! তবে এই পোস্ট একটু অন্যরকমের। এক সারমেয় তার অজান্তেই আরেক সারমেয়ের প্রাণ বাঁচাতে এভাবে যে অংশ নিতে পারে, এই গোটা পোস্ট সেই ‘নজির’র ঘটনার বিবরণ দিচ্ছে ওঅ পোস্ট।
( Heatwave Warning:ভরা বসন্তে তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেশের এই শহরে! মেগা সিটিতে জারি ‘ইয়লো অ্যালার্ট’)
কয়েক বছর আগেও এহেন এক ঘটনার কথা খবরের শিরোনাম কেড়েছিল। সেই ঘটনা ছিল, সিউড়ির পশু হাসপাতালের। রামপুরহাট ভাঁড়াশাল পাড়া থেকে আসা একটি পথ কুকুরের বাঁ পায়ে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। তাকে দু'টি কেমো দেওয়ায়, তার শরীরের সমস্ত রক্ত শুকিয়ে গিয়েছিল। এমনকী, প্রাণ বাঁচাতে তার ক্যানসারে আক্রান্ত পা কেটে বাদ দিতে হয়। তখনই শরীরের সমস্ত রক্ত বেরিয়ে যায়। আরেকটি কুকুর সাঁইথিয়া জিয়ুইগ্রাম থেকে এসে পৌঁছয় সংস্থার সিউড়ির দফতরে। দেখা যায় তার তলপেটে মস্ত বড় একটি টিউমার বাসা বেঁধেছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মরণাপন্ন এই দুই সারমেয়কে রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচায় আরও এক সারমেয়।