বিয়ের মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে সন্তানহারা হলেন রিঙ্কু মজুমদার। নতুন জীবন শুরু করার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে, তা যেন হঠাৎই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। মঙ্গলবܫার উদ্ধার হয় রিঙ্কু পুত্র প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের অচৈতন্য দেহ। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে এই তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের সামনে গাড়িতে বসেছিলেন রিঙ্কু। নামেননি সদ্য সন্তানহারা মা। দেহ আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য।
🔜তবে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন রিঙ্কুর প্রাক্তন স্বামী। এতদিন ধরে অবেকেই করে আসছিল, দিলীপ পত্নীর প্রথম স্বামী কে,𝕴 তা জানার চেষ্টা। তবে ছেলেকে হারিয়ে আর বাড়িতে থাকতে পারেননি বাবা। রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামী অর্থাৎ প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের বাবার নাম রাজা দাশগুপ্ত। অর্থাৎ বাবার পদবিই ব্যবহার করতেন ছেলে। তিনি বিজপুর উত্তরপাড়া নবনগরের বাসিন্দা।
জানা যায়, খুব অল্প বয়সেই রিঙ্কু নিজে দেখে বিয়ে করেছিলেন রাজাকে। তবে সেই বিয়ে সুখের হয়নি। এরপর সব ছেড়েছুড়ে বেরিয়ে আসেন ছেলেকে নিয়ে। একাই বড় করেছেন ছেলেকে। চাকরি থেকে ব্যবসা, কম খাটনি করে🐻ননি ছেলেকে দাঁড় করাতে। তবে হঠাৎই যেন সবটা শেষ হয়ে গেল মঙ্গলবার।
রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের বয়স ২৫ বছর। তিনি আইটি সংস্থার অফিসে কাজ করতেন তিনি। পুলিশ সূত্রꦰে জানা যাচ্ছে, একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। নিয়মিত তার ওষুধও চলত। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। পಞুলিশ আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিক অনুমানে জানিয়েছে।
দুর্গাপুরে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল সৃঞ্জয়ের মঙ্গলবার সকালে। সকাল ৮টায় পরিবারের🌊 সদস্যদের সঙ্গে বেরোনোর কথা ছিল। ঘুরতে যাওয়ার জন্য অফিসে আগাম ২ দিনের ছুটিও নিয়ে রেখেছিলেন। ছেলে এভাবে অকালে চলে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিঙ্কু।