ফের একবার বাংলায় ভূমিকম্প অনুভূত হল। দিন কয়েক আগেই ভোর নাগাদ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। আর এবার গভীর রাত আড়াইটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই সঙ্গে কেঁপে ওঠে পার্শ্ববর্তী বিহার। জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ নেপাল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাত ২টো ৩৬ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিম্প ছিল ৬.১ মাত্রার। বিহারের মুজফফরপুর থেকে ১৮৯ কিলোমিটার উত্তরে নেপালের বাগমতী প্রদেশে এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। (আরও পড়ুন: নয়া প্রধান পাচ্ছে SEBI, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকের মাথায় বসতে চলা তুহিন কে?)
এই ভূমিকম্প নিয়ে নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার এক শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা গণেশ নেপালি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'এত জোরে ঝাঁকুনি হয় যে আমাদের গভীর ঘুম ভেঙে যায়।' তাঁক কথায়, গভীর রাতে আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে আবার সবাই বাড়িতে ফিরে যান। এই ভূমিকম্পের জেরে হতাহতের কোনও ঘটনা ভোর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলোনান তিনি। এদিকে বিহারের পটনা থেকে বাংলার দার্জিলিঙে বহু বাড়িতে এই ভূমিকম্পের প্রভাবে জিনিসপত্র নড়ে উঠেছে। ছাদে ফ্যান দুলে উঠেছে। তবে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি কোথায় হয়েছে বলে জানা যায়নি।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং বাংলাদেশের শিলেট অঞ্চল। অসমের মরিগাঁও জেলা, গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টা ২৫ মিনিটে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মরিগাঁও থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। এই ভূমিকম্পের জেরে ভুটান এবং চিনেরও নানা জায়গা কেঁপে উঠেছিল।
এদিকে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল কলকাতা, ভুবনেশ্বর সহ পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ২৫ ফেব্রুয়ারির সেই ভূমিকম্পটি হয়েছিল কাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। ভূমিকম্পের উৎসস্থল কলকাতা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং হলদিয়া থেকে ২৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। এদিকে বাংলাদেশেও পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছিল।