সদ্য চাকরিহারা সরকারি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বিক্ষোভে পলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনা꧃র ঝড় উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে আজ (বুধবার - ৯ এপ্রিল, ২০২৫) দুপুরে ১টা ২♌০ নাগাদ রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারের উদ্দেশে কড়া নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।
সংবাদমাধ্যম🦹ের হাতে আসা তথ্য অনুসারে - তিনি তাঁর বার্তায় অত্যন্ত কঠোরভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও পরিস্থিতিতেই চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ করা যাবে না। যদি কোথাও আন্দোলন🥀, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হয়, তাহলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে একেবারে শান্তিপূর্ণভাবেই সমস্য়ার সমাধান করতে হবে।
উল্লেখ্য, আজ যে রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় ডিআ🌄ই অফিস অভিযান ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে, সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এসএসসি-র ২০১৬ সালের বাতিল হওয়া প্যানেলে থাকা শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা। সেই মতোই বিভিন্ন এলাকায় ডিআই অফিসের উদ্দেশে অভিযান শুরু করেন চাকরিহারা। কসবা থেকে দুর্গাপুর, বারাসত - সর্বত্রই 'শিক্ষক বিদ্রোহ' ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডিআই অফিসগুলির লাগোয়া চত্বর।
সবার আগে কসবার ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জের 🌞অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে, চাকারিহারা ও পুলিশের মধ্য়ে রীতিমতো সংঘর্ষ বেধে যায় বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য়ের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতে থাকে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ💛ের লাঠিচার্জের ফলে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পালটা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে একাধিক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের দাব⛎ি, তাঁরা গণতান্ত্রিক পথে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাঁদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। অন্যদিকে, পুলিশের অভিযোগ 🐎- তারা মোটেও আগে লাঠিচার্জ করেনি। বিক্ষোভকারীরাই প্রথমে হামলা চালিয়েছেন। তা প্রতিহত করতেই হালকা লাঠি চালনা করতে হয়েছে!
দু'পক্ꦺষের এই দাবি ও পালটা দাবির মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। নিন্দা শুরু হয় সব মহলে। সূত্রের দাবি - বিষয়টি নবান্নও ভালো চোখে দেখছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি চাকরিহারাদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যাবে। যা রাজ্য সরকার বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে কখনই কাম্য নয়। এই প্রেক্ষাপটে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমের কড়া নির্দেশিকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।