চুরির অভিযোগে এক নাবালককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বারুইপুরের। অভিযোগ বারুইপুরের উত্তরভাগে একটি আশ্রমের ভিতরে পবিত্র সরদার নামে ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়। যার জেরে মৃত্যু হয় সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার। ঘটনায় আশ্রম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের মামা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - বিরাট ভূমিকম্প আসবে, ৪ জুনের পর সব পরিবারবাদী পার্টি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে: নরেন্দ্র মোদী
পড়তে থাকুন - মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করতে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিল আপ করাচ্ছেন TMC নেতারা
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরভাগে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে স্থানীয় একটি আশ্রমে চুরির অভিযোগ ওঠে পবিত্রর বিরুদ্ধে। এর পর তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আশ্রমের কয়েকজন যুবক। সেখানে বিচারের নামে তাকে হাত পা বেঁধে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিবারের অভিযোগ, চুরির অভিযোগ মিথ্যা। আসলে ওই আশ্রমে অসামাজিক কাজ কর্ম চলে। সেব্যাপারে কিছু জেনে ফেলেছিল ওই কিশোর। তার জেরেই তাকে আশ্রমে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাকে অসামাজিক কাজে জড়ানোর চেষ্টা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ধমক দেয় আশ্রমের আবাসিকরা। এর পর পবিত্রকে বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তারা। যার জেরে ওই ছাত্রের দেহে একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত লাগে।
ছাত্রের মামার অভিযোগ, ভাগ্নেকে মারধর করা হচ্ছে শুনে তিনি আশ্রমে গেলে তাঁকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - পিসি- ভাইপো যার বাড়িতেই লুকিয়ে থাকুক, সওকতকে চুলের মুঠি ধরে জেলে ভরা উচিত CBIএর: শুভেন্দু অধিকারী
ছাত্রের মৃত্যুর পর আশ্রমের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের মামা। তবে এব্যাপারে আশ্রমের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।