এবার শুরু হয়ে গেল ‘স্বচ্ছসাথী’ অ্যাপ। এখানে এবার থেকে থাকবে শহরে আবর্জনা সাফাইয়ের হিসেব–নিকেশ। আরꦦ এবার থেকে এই কাজের উপর অনলাইনের মাধ্যমেই চলবে নজরদারি। আবর্জনা সাফাই করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে অথবা কো✱থায় কাজ হয়েছে বা হয়নি এবার থেকে সমস্ত তথ্যই ‘স্বচ্ছসাথী’ অ্যাপে আপলোড করতে হবে। কেমন করে সেই কাজ আপলোড করতে হবে সেটা এবার কোচবিহার জেলায় ৬টি পুরসভা এবং আলিপুরদুয়ার পুরসভার নির্মলসাথীদের প্রশিক্ষণ দিল স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)।
এদিকে কোচবিহার দিয়ে শুরু হলেও সমস্ত জেলা এবং কলকাতা শহরেও তা চালু হবে বলে সূত্রের খবর। কলকাতা প♐ুরসভায় একটা সিস্টেম আছে। সবকিছুর হিসেব রাখার। তাও এই অ্যাপ আরও সুবিধা করে দেবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে, কোন জায়গা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হল, কোথায় কাজ করতে গিয়ে স♏মস্যায় পড়তে হচ্ছে, কারা রাস্তায় আবর্জনা ফেলছে—নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানা যাবে খুব সহজেই। এমনকী কর্মীদের ফাঁকিও নজর রাখা সম্ভব। এই বিষয়ে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘অনলাইনে নজরদারি চললে ফাঁকি দেওয়া সহজেই ধরা যাবে। কেউ আবর্জনা সাফাইয়ে সহযোগিতা না করলে সেটাও ধরা পড়বে এই অ্যাপে।’
আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অফিসে অভিজিৎ, চেয়ারম্যানের দেখা না মেলায় ফের আসবেন
কোচবিহারে এখন এই অ্যাপ কাজ করতে শুরু করলেও বাংলা জুড়েই এই অ্যাপ কাজ করবে আবর্জনা সাফাইয়ে বলে জানা গিয়েছে। কোচবিহারে এখন শুধু গোটা বিষয়টি নিয়ে একটা মহড়া হলেও একসপ্তাহের মধ্যে অ্যাপটি চালু হবে। তাই এখন কোচবিহার পুরসভার হলঘরে সুডার ৯জন অফিসার সকলকে প্রশিক্ষণ দেন। এখানে কোচবিহার, দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা, তুফানগঞ্জ, হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জ এবং আলিপুরদুয়ার শহরের তিনজন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে কো🍌থায় কাজ হল, কখন হল সব তথ্য আপলোড করবেন তাঁরা। আবার সাফা🐼ইকর্মীরা রোজ ডোর টু ডোর যাচ্ছেন কি না, সেটা জানারও সুযোগ থাকছে ওই অ্যাপে। স্যানিটারি ইনস্পেকটর–সহ আইটি বিভাগ মনিটরিং করবে।
এই অ্যাপ অত্যন্ত আধুনিক বলে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি সূত্রে খবর। এবার এটা সর্বত্র চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরের সমস্ত বাড়ি থেকে রোজ আবর্জনা সংগ্রহ করার কথা থাকলেও অনেকের অভিযোগ সাফাইকর্মীরা নিয়মিত বাড়ি আসেন না। আবার সাফাইকর্মীদের পাল্টা অভিযোগ, অনেক বাড়ি থেকে আগেই আবর্জনা রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। 💦এবার থেকে এই অভিযোগ অনলাইনে তুলে 🔴ধরা হলে সমস্যায় পড়তে হবে নাগরিকদের। রাস্তায় ময়লা ফেলা যাবে না। এই উদ্যোগের ফলে পুরসভা এলাকাগুলি কতটা পরিষ্কার থাকে সেটাই দেখার।