শম্ভূ নামে এক ব্যক্তিকে খুনে শিবরাত্রির আগের দিন চরম পরিণতি হল TMC কাউন্সিলরের

মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় পানিহাটি পুরসভার তৃণমূলি কাউন্সিলর তারক গুহের যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিল বারাকপুর আদালত। গত সপ্তাহেই এই ঘটনায় তারকসহ ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় পানিহাটিজুড়ে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি তারক গুহকে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। পড়তে থাকুন - বচসা চলাকালীনই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন, ট্রলিব্যাগে মহিলার দেহ উদ্ধারে জেরায় কবুল আরও পড়ুন - ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ লাভলিকে TMC পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরাল প্রশাসন আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে পানিহাটিতে মাছ ব্যবসায়ী শম্ভূ চক্রবর্তীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারক গুহকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছে আদালত। সঙ্গে সাজা হয়েছে তারকের ভাইপো নেপালসহ আরও ৪ জনের। এই মামলায় ৩ জনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন বিচারক।২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজোর সময় পানিহাটির গান্ধীনগর এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে দুর্গা মণ্ডপে বেঁধে পিটিয়ে খুন করা হয় পেশায় মাছ ব্যবসায়ী শম্ভূ চক্রবর্তীকে। সেই ঘটনায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা তারক গুহসহ ১০ জনের বিরুদ্ধ খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। এদের মধ্যে ২ জন এখনও ফেরার। বাকি ৮ জনের মধ্যে ৩ জনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। আর শাস্তি হয়েছে ৫ জনের।আরও পড়ুন - ‘আন্দোলন না করার জন্য ডাক্তারদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে’, বেতন নিয়ে বেলাগাম দিলীপখুনের অভিযোগে অভিযুক্ত তারক গুহ ২০২২ সালে তৃণমূলের টিকিটে পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন। নিহত শম্ভূ চক্রবর্তীর ছেলে অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে মামলা তুলে নিতে তাদের লাগাতার চাপ দিতে থাকে তারক ও তার দলবল। এমনকী ১৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তারক ও তার ভাইপো নেপালের নাম তুলে নিতে চাপ দেয় তারা।এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল ২০১৪ সালে, আর সে কাউন্সিলর হয় ২০২২ সালে। অর্থাৎ কাউন্সিলর হওয়ার আগে অপরাধ করেছিল সে। প্রশ্ন উঠছে এরকম একজন খুনের আসামীকে কেন টিকিট দিল তৃণমূল?