অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ বোঝাই ট্রাকটি যাচ্ছিল অসমের দিকে। জলপাইগুড়ির রাস্তা দিয়ে তীব্রবেগে ছুটছিল ট্রাকটি। হাইওয়ের উপর বিপরীত থেকে আসা একটা গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে একটি ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি হয়ে যায় মাছ বোঝাই ট্রাকটি। এরপরই ট্রাকটি একেবারে সেতুর রেলিং ভেঙে ঝুমুর নদীতে পড়ে যায়। ট্রাক পড়ে যাওয়ার বিকট শব্দে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। এদিকে এসেই তাঁরা দেখেন ট্রাক তো পড়েছেৎ। তার সঙ্গেই নদীর ধারে একেবারে যেন মাছের মেলা বসে গিয়েছে। চারপাশে ছড়ানো রয়েছে অজস্র বড় সাইজের মাছ। সেই বড় বড় রুই কাতলা পড়ে থাকতে দেখে লোভ সামলাতে পারেননি বাসিন্দাদের অনেকেই। মাছ কুড়োনর ধূম পড়ে যায় নদীর পাড়ে।এদিকে সেই ট্রাকের নীচেই চাপা পড়েছিলেন লরির খালাসি। অভিযোগ, তাকে উদ্ধার না করেই মাছ কুড়োতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বাসিন্দারা।খালাসি তখনও জলের তলায়, ট্রাকের নীচে। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তবুও মাছ সংগ্রহের কাজ থামেনি। একেবারে বস্তা বস্তা মাছ সংগ্রহ করেন বাসিন্দারা। এদিকে পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। জলের নীচে পাওয়া যায় খালাসির নিথর দেহ। পুলিশের ধারণা, আগে থেকেই বাসিন্দারা তৎপর হলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেত। তবে চালককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাছগুলিকে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের একাংশের এই অমানবিক রূপ দেখে স্তম্ভিত অনেকেই।