শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। কিন্তু, সেই প্রতিকূলতার কাছে হার মানেননি। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মনের জোরে হাসপাতাল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন চন্দননগরের সুজলি পাত্র। ৭ মে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই জানা গেল ৬০ শতাংশ নম্বর পꦇেয়ে সফল হয়েছেন। কিন্তু, সেই রেজাল্ট দেখার জন্য সুজলিই নেই। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানতে হয়েছে তাঁকে। পরীক্ষার ফলপ্রকাশের ১০ দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় পরীক্ষার ফল সামনে আসতেই তাঁর মার্কশিট হাতে নিয়ে কান্নায় ভেঙে 🌄পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: 'বাচ্চারা বাড়িতে…', বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণার অনুরোধ🌠♐ মমতার, কবে থেকে?
জানা গিয়েছে, চন্দননগরের লালবাগান স্কুলের ছাত্রী ছিলেন সুজলি পাত্র। মাধ্যমিকে ভালো ফল করেছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকেও ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। গত কয🍰়েဣক বছর ধরে তার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে সুজলির জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়েছিল। এরপরে তা থেকেই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর অপারেশন হয়েছিল। কেমোথেরাপি চালানো হচ্ছিল।
তা সত্ত্বেও অদম্য ꦫজেদ নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুজলি। পরিবারের দাবি, পড়াশোনায় প্রথম থেকেই ভালো ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও বেশ আগ্রহী ছিলেন সুজলি। সেই কারণে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছেও প্রিয় ছিলেন। তবে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে আসতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন๊ অসুস্থ হয়ে পড়েন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই চারটি বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সুজলি।
তবে সুজলি যে শারীরিক প্রতিকূলতার সঙ্গেই শুধু লড়াই করেছিলেন, তা নয়। মাত্র ১১ দিন বয়সে মাকে হারিয়েছিলেন। তখন থেকেই মামা সত্যজিৎ রায়𓃲ের সঙ্গে থাকতেন সুজলি। তাঁর মামা পেশায় জুটমিলের শ্রমিক। তিনি জানান, নিজের সাধ্যমতো সুজলির ক্যানসারের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। স্কুল থেকেও পড়াশোনায় সুজলিকে সাহায্য করা হয়েছে।
তাঁর🍌 মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে স্কুলেও। জানা স্কুলের তরফেই সত্যজিৎকে ফোন করে সুজলির প্রথম বিভাগে পাশ করার খবর জানানো হয়। তা শোনার পর দুচোখে জল ধরে রাখতে পারেননি সুজলির মামা। তাঁর আক্ষেপ, মেয়েটি প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন, তা দেখে যেতে পারলেন না।