এবার হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের গলায় শোনা গেল বেসুরো সুর। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি বেশ তোলপাড়। কারণ তিনি হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। আর এখন সেখানে তিনি থাকতে চান না। বরং সেখান থেকে পালিয়ে আসতে চান। এই কথা তিনি নিজে মুখেই বলেছেন। সুতরাং কোনও জল্পনা বা গুঞ্জনের অবকাশ নেই। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হাওড়ায় কি তিনি আর সাংসদ থাকতে চাইছেন না? হ্যাঁ, তিনি প্রাক্তন ফুটবলার তথা হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর কথায় এসব প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়ায় সবলা মেলার উদ্বোধনে এসে এমনই কথা বলেছেন তিনি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাল ভোটের ব্যবধানে জেতেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে তাঁর গলায় কেন এমন বেসুরো সুর? এই প্রশ্ন এখন ভীষণভাবে জানতে চান হাওড়ার মানুষজন। কারণ তাঁরাই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন প্রসূনবাবুকে। এখন তিনি এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা বলছেন! উলুবেড়িয়ার দুই নম্বর ব্লকের করাতবেড়িয়ায় সবলা মেলার উদ্বোধন এসেছিলেন হাওড়ার সাংসদ। এই এলাকা উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যেখানের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাজদা আহমেদ। এখানে এসেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে আসা নিয়ে নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করলেন প্রসূন। আর সেটা বলতে গিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।
আরও পড়ুন: আজ বাংলায় আসছে বিশ্বব্যাঙ্কের বিশেষ প্রতিনিধিদল, মুখ্যমন্ত্রীর দুটি প্রকল্প নিয়ে বৈঠক
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? হাওড়া শহর থেকে উলুবেড়িয়া গ্রামীণ এলাকায় আসতে চান তিনি। তাই হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘তোমরা আমায় গ্রামীণ এলাকায় নিয়ে নাও। ওদিকটা আমার ভাল লাগে না। আমি বলেছিলাম। কিন্তু ওখানে আমাকে দিলই না। ওখানে আমাকে জায়গা দিলে আমি গোল্ড কাপ পাব। ওখানে অনেক ভাল নেতা–নেত্রী আছেন। বহু ভাল মানুষ আছেন। আমি এখান থেকে পালিয়ে আসতে চাইছি। দয়া করে আমাকে এদিকে নিয়ে আসুন। ওখানে বসব। মানুষের জন্য আরও কাজ করব। এদিকে বড় বড় লোকের বসবাস। বড় বড় লোকের চিন্তা। এই জায়গা হাওড়ার সবথেকে ভাল জায়গা।’
ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সাল থেকে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। এই জায়গায় তিনি জনপ্রিয়ও বটে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আবার তাঁকে প্রার্থী করার পর সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাতে অবশ্য বিশেষ আমল দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বরং নিজের ভাই বাবুনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছিলেন দলনেত্রী। আর এখন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের বক্তব্য, ‘হাওড়া থেকে পালিয়ে আসতে চাই।’