পুরুলিয়া জেলায় মোট ৪৩,১৬😼৪ জন পরীক্ষার্থী এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। যার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ২০১৬০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ২৩০০৪ জন। জেলায় মোট পরীক্ষা কেন্দ্র ১০৮টিতে নেওয়া হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পর্ষদ, জেলা প্রশাসন এবং বনদফতর নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। জঙ্গলমহলের যে সমস্ত স্𝔉কুলগুলি রয়েছে সেখান থেকে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গাড়ি করে। বান্দোয়ানের জঙ্গলমহলের দুর্গম গ্রামগুলি থেকে পরীক্ষার্থীদের বন দফতরের গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে। সব মিলিয়ে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত প্রশাসন।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন এমন ব্যবস্থা করল বন দফতর? আসলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ডোরাকাটার ভয় পাচ্ছে বলে জানিয়েছিল তাদের অভিভাবকদের। সেখান থেকে খবর যায় বন দফতরে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যোগাযোগ করে বন দফতরের সঙ্গে। যাতে পরীক্ষার্থীরা ভালভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে পারে এবং নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে। কারণ যদি ঘাড়ে এসে পড়ে থাবা তাহলে পরীক্ষা দেওয়া মাথায় উঠবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পুরুলিয়ার কয়েকটি এলাকায় উঠে আসছে বাঘে🅰রই আতঙ্ক। কারণ গত কয়েক মাসে এই জেলায় বাঘের দাপট বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষে বান্দোয়ানের রাইকার জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে সিমলিপালের বাঘিনি জিনাত। তারপর এখানেই আসে এক রয়্যাল বেঙ্গল।
আরও পড়ুন: তিনবার বৈঠক হলেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি গঠন অধরা, ভোটাভুটির পথে সিপিএম
এখানে ডোরাকাটার দাপটে আতঙ্ক এখনও রয়েছে। বান্দোয়ানে পরীক্ষা কেন্দ্র তিনটি। গঙ্গামান্না জঙ্গল লাগোয়া স্কুলে এসে হাজির হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এই গঙ্গামান্না জঙ্গল থেকে বেড়িয়েছিল বাঘ। তবে এই বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক সোমনাথ কুইরি জানান, সুষ্ঠুভাবে ছাত্রছাত্রীরা যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাড়ি রাখার পাশাপাশি থাকছে হেল্পলাইন নম্বরও। বান্দোয়ানের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি রাজীব লোচন সোরেন বলেন, ‘বাঘ নিয়ে উৎকণ্ঠার কিছু নেই। দৃষ্টি রেখেছে বন দফতর।’ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নিরূপমা মুড়ার বক্তব্য, ‘পাঁচ কিমি দূরে🌜 পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। মোটরবাইকে করে যাব। এখানেই তো এসেছিল বাঘ। তাই চিন্তা আছেই।’