পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। ভিনধর্মী মহিলার সঙ্গে সহবাস করতে মাঝরাতে প্রেমিকার বাড়িতে হাজির আসতেন তিনি। এটাই প্রতিবেশীরা কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করে বুঝতে পারেন। আর তারপরই বুধবার মাঝরাতে পরকীয়ায় লিপ্ত যুগলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তখন গ্রামের বাড়ি থেকে টেনে বের করে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে নদিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
নদিয়ার তেহট্ট এলাকা থেকে ওই যুগলকে মারধরের পর স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এই মহিলাও বিবাহিত। বিজেপি কর্মীও বিবাহিত। কিন্তু তাঁরা স্বামী–স্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আর প্রায়ই সহবাস করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে এদিন এই মারধরের ঘটনায় সব প্রকাশ্যে এসে গেল। যখন তাঁদের ধরা হয়েছিল তখন তাঁদের গায়ে একটি সুতোও ছিল না বলে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন।
গোটা বিষয়টি নদিয়ার তেহট্টের চিলাখালির মুসলিম পাড়ায় ঘটেছে। এখানের এক বিজেপি নেতার ভাই পাড়ারই এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করেন। দুজনেই বিবাহিত হওয়ায় সেই সম্পর্ক তরতর করে এগিয়ে যায়। দু’জনেই স্বামী–স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে প্রতিবেশীদের অভিযোগ। দু’জনের সহবাসের সম্পর্ক নিয়ে পাড়ায় জোর চর্চাও তৈরি হয়েছিল। তখন থেকেই ওই যুগলকে হাতেনাতে ধরার অপেক্ষায় ওৎ পেতে ছিলেন তাঁরা। বুধবার মাঝরাতে সেই সুযোগ আসতেই প্রতিবেশীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? রাত ৩টে নাগাদ ওই মহিলার স্বামী কাজে বেরিয়ে যেতেই সেখানে হাজির হন প্রেমিক। তারপর ঘরে ঢুকে শুরু হয় সহবাস। জানালা দিয়ে গোটা বিষয়টি প্রথমে দেখেন প্রতিবেশীরা। তারপর গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন তাঁরা। এরপর দরজা ধাক্কা দিতেই ছিটকিনি খুলে যায়। তখন ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন যুগলের শরীরে কোনও পোশাক নেই। তখন এলাকার মধ্যে পরকীয়া করার অভিযোগে তাঁদের মারধর করা হয়। অভিযুক্ত যুবক বিজেপি কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। গ্রামের বাড়ি থেকে দু’জনকে বের করে এনে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে চলে গণপ্রহার। পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup