সালটা ২০২৩। তারিখ ছিল ৬ জুন। প্রায় দু’বছর আগে মণিপুরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদব। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়ার শুগিয়াপাড়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। রঞ্জিত যাদব শহিদ হওয়ার পর থেকে নানা মহলে চেষ্টা করেও চাকরি পাননি তাঁর স্ত্রী বলে ꦺঅভিযোগ। আর প্রায় দু’বছর আগে থেকে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি সাহাꦦয্য সেভাবে পাননি শহিদ রঞ্জিত যাদবের পরিবার। এবার সংসার চালাতে না পেরে চাকরির আবেদন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
কেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন? শহিদ রঞ্জিত যাদবের স্ত্রী এখন সন্তান, ননদ এবং শাশুড়িকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই আর্থিক সংকট থেকে বের হতে চান তিনি। শহিদ সেনা রঞ্জিত যাদবের স্ত💟্রী ভেবেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য মিলবে। কিন্তু তা মেলেনি বলে অভিযোগ। কদিন আগে কাশ্মীরে শহিদ নদিয়ার জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা দেখেই আশায় বুক বেঁধে ভাটপাড়ার শহিদ জওয়ানের স্ত্রী সরকারি চাকরির আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ডাকাতি, খাস কলকাতার ঘটনায় গ্রেফতার ৫
কেমন করে চলে শহিদ জওয়ানের সংসার? শহিদ রঞ্জিত যাদবের পরিবার সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার জন্য কিছু টাকা ভাতা আসে শহিদ পরিবারে। সেখানে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, ননদ এবং শাশুরি চারজনের সংসার। যা ওই ভাতা দিয়ে চালানো কার্যত কঠিন। এটাই একমাত্র আর্থিক উৎস এই শহিদ পরিবারে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাধ্য হয়ে অন্য কাজ করেন শহিদ রঞ্জিত যাদবের স্ত্রী কৌশল্যা। তাই তাঁর আবেদন, রাজ্য সরকার একটা চাকরি দিক তাঁকে। তাহলে এই আর্থিক কষ্টের সুরাহা হবে। এই বিষয়ে শহিদ রঞ্জিত যাদবের মা ভারতী যাদব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কাশ্মীরে শহিদ ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রীকে চাকরি𒅌 দিয়েছেন, তেমনই যদি কৌশল্যাকেও একটা চাকরি দেন, তাহলে পরিবারটা বেঁচে যাবে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? সদ্য পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আর সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হন নদিয়ার জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। এই ঘটনার কদিনের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা সকলেই দেখেছেন। আর্থিক সাহায্যও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় মহিলা হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ঝন্টু শেখের স্ত্রী শেহনাজের হাতে। এই চাকরি পেয়ে শেহনাজের বক্তব্য, ‘মু💖খ্যমন্ত্রীর জন্য আমি সাহস পেয়েছি। প্রথম থেকে তিনি আমার পাশ🌸ে ছিলেন। আমার সন্তানদের পাশে ছিলেন। বড় দিদির মতো আগলে রেখেছিলেন।’