রাজ্য সরকারের দুটি প্রকল্প প্রশংসা পেল অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পরিচালিতﷺ প্রতীচি ট্রাস্টের রিপোর্টౠে। গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে পরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুলাইতে প্রতীচী ট্রাস্টের যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ꦓউল্লেখ করা হয়েছে, ‘দিদিকে বলো’–র মাধ্যমে রাজ্যেরꦬ বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানানোর সুযোগ পেয়েছেন। ‘দিদিকে বলো’–তে যত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ৯৫ শতাংশের সমাধান হয়েছে। প্রায় ১০ লাখেরও বেশি অভিযোগ নিয়ে বিচার বিবেচনা করা হয়েছে ও সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় পৌনে তিন কোটি মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। নির্বাচনের আগে যেভাবে একাধিক সরসারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে খুব সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, তারও প্রশংসা করা হয় রিপোর্টে। প্রতীচির রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৫ শতাংশ মহিলা তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পেরেছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও মহিলাদের বিধবা ভাতার মতো বিষয়ে ভালো সাড়া মিলেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে ফের ঘোষণা করা হয়েছে, দুয়ারে সরকার ফের চালু করা হবে। আগামী ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করা হবে। এর আগে যখন দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, তখন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কার্ড করানোর জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিল রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া ক্যাম্পে। এবার আরও একটি প্রকল্পের সূচনা হতে চলেছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামে আরও একটি প্রকল্পের সূচনা🍎 হতে চলেছে। ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলা, যারা কোনও সরকারি বা বেসরকারি স্থায়ী চাকরির সঙ্গে যুক্ত নন ও যারা পেনশনভোগী নন, তাঁরা এর সুবিধা পেতে পারবেন। প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর আগে যেমন দুয়ারে সরকার প্রকল্পে মহিলাদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে, তেমনই এবারের দুয়ার সরকার ক্যাম্পেও সেই মহিলাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত।