শেষবার গন্ডার 🦹গণনা হয়েছিল ২০২২ সালে। প্রায় তিন বছর পর বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হল গন্ডার শুমারি। গরুমারা, জলদাপাড়া এবং চাপড়ামারি জঙ্গলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার গন্ডার গণনা করা হবে। গণনা করছেন বনকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন এনজিও’র সদস্যরা। বুধবার সকাল-সকাল একাধিক হাতির পিঠে চেপে বনকর্মীরা জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ করেন। গণনার কাজে সুবিধার জন্য একাধিক দলে ভাগ করা হয়েছে কর্মীদের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গন্ডার শুমারির কাজ চলবে। এর জন্য আগেই বনকর্মী ও পরিবেশপ্রেমীদের দুদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। গণনার কাজে কুনকি বা পোষ্য হাতির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। ওড়ানো হয় ড্রোনও।
আরও পড়ুন: কাজিরাঙায়🥃 জঙ্গল সাফারি করতে গিয়ে বিপত্তি, গাড়ি থেকে পড়েꩵ মা–মেয়ে গন্ডারের মুখে
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ গরুমারা জঙ্গলের মেদলা ক্যাম্প থেকে গন্ডার শুমারির সূচনা হয়। সেই সময় ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন, সহকারি বনাধিকারিক নিমা সেরপা, গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার ধ্রুবজ্যো🥂তি ꦅবিশ্বাস প্রমুখ। দু'দিন ব্যাপী জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে গন্ডারের প্রকৃত সংখ্যা জানার চেষ্টা করবেন কর্মীরা।
এই দু'দিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলবে গন্ডার শুমারি। গণনার জন্য এই দুটদিন পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমীক্ষা শেষ হলেই পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হবে জঙ্গল। বিশ্লেষণের পর জঙ্গলগুলিতে কতগুলি গন্ডার রয়েছে? সেই সংখ্যা জানা যাবে। 🦩এই শুমারি সফল করতে দক্ষিণ ধুপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে দু'দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রথমদিন বনকর্মী ও বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের এবং দ্বিতীয় দিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পরিবেশপ্রেমী꧃ সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্য꧅ানের ডিএফও প্রভিন কাসওয়ান জানিয়েছেন, গন্ডার শুমারির জন্য প্রায় ৭০টি হাতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। বনকর্মীদের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ১৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা গণনার কাজ যোগ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ৪০০ জন এই গণনার কাজ করবেন। তাঁদের ১৯৩টি দলে ভাগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ১৪টি একশৃঙ্গ গন্ডার ছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। ২০২২ সালের গণ﷽নায় সেই সংখ্যা ছিল ২৯২টি। অন্যদিকে, গরুমারায় ২০২২ সালে ৫৫ টি গন্ডারের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে এই বছর জঙ্গলে গন্ডারের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশাবাদী বন দফতর।