আট বছর আগে বিশেষভাবে সক্ষম এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ফের ধর্ষণের শিকার হলেন ওই তরুণী। দু'বারই তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার ক꧋রেছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন যুবক এবং তাঁর পরিবাবের সদস্যরা। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে তাঁর পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: 'গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢোকানো হয𒁏়ে🐼ছিল বোতল', মিথ্যা অভিযোগ করায় গ্রেফতার মহিলা
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এর আগে যখন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, তখন পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছিল। যদিও পরে জামিনে তাকে মুক্তি দেয় আদালত। তবে এখনও মামলাটি চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের ওই যুবক তাঁকে ܫধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, ব্যক্তিগত ♔প্রয়োজনে তরুণী ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় ওই যুবক তাঁর মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ঝোপে টেনে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে। তবে যুবকের স্ত্রী, পরিবার এবং প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, এই অভিযোগ মিথ্যে। কারণ যে সময়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই সময় ওই যুবক মাঠে ছিলেন। নিজের জমিতে কাজ করছিলেন। অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, জমিতে জল নেওয়া তরুণীর পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। সেই কারণে তাঁর স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্তের স্ত্রী জানান, তিনিও পালটা পুলিশে যাবেন।
এদিকে, জল দেওয়া নিয়ে ঝামেলার অভিযো൲গ অস্বীকার করেছে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা অবিবাহিত এবং বাবার কাছে থাকেন। তাছাড়া বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় তিনি ভাতা পান। মহিলা কমিশন বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা আক্ষেপ করে জানান, প্রথম ধর্ষণের ঘটনার জন্য তাঁর মেয়ে🧔 বিয়ে করতে চাননি। বিচার পেলে দ্বিতীয়বার এটা আর হত না। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
রাজ্য মহಌিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে খবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, ঘটনায় প্রতিনিধি দল গিয়ে পরিদর্শন করবে। এদিকে, এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আরএসপির বক্তব্য, রাজ্যে নারীরা সুরক্ষিত নন। তবে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানান, ঘটনায় আইনি পদ💜ক্ষেপ করা হয়েছে।