আজ পৌনে ১১টা নাগাদ বিধানসভা পৌঁছন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সকাল থেকেই খোশমেজাজে দেখা যায় নওশাদকে। বিধানসভায় পৌঁছে সকলের সঙ্গে কথা বলেন এই বিধায়ক। নওশাদের মুখে ছিল ‘জয়ের হাসি’। বিধানসভার অলিন্দে এই ছবি দেখে ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা থেকেই সুর চড়ান আইএসএফ বিধায়ক।
নওশাদকে জাপটে ধরেন অসীম সরকার।
জেল থেকে মুক্তি পেতেই বিরোধীরা নওশাদকে সামনে রেখে খেলতে চাইছে। যাকে ঘোলা জলে মাছ ধরা বলে। আর আজ, সোমবার জেল থেকে বেরনোর পর বিধানসভায় প্রথম পা রাখলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। টানা ৪২ দিন জেলে কাটিয়ে আজ ভাঙা গাড়িতে চেপে বিধানসভায় এলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বাজেট অধিবেশনের সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে তাঁকে। আর তাঁকে কাছে পেয়ে জাপটে ধরলেন বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
আজ, সোমবার বিধানসভায় পা রেখে নওশাদ বুঝিয়ে দিলেন আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না তিনি। জেলমুক্তির পর বিধানসভায় আইএসএফ নওশাদ সিদ্দিকী একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন। ধর্মতলায় অশান্তির দিনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে সবদিক বিচার করে কলকাতা হাইকোর্ট জামিন দেয় নওশাদকে। কারণ অভিযোগের সঙ্গে প্রামাণ্য নথির কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে বিধানসভা থেকেই সুর চড়ান আইএসএফ বিধায়ক। তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন। আর হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘আন্দোলন চলবেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না। এভাবে কন্ঠরোধ করা যাবে না। আপনারা আমার ট্র্যাক রেকর্ড দেখতে পারেন। আমি প্রত্যেকদিন বিধানসভায় আসি। হয় কিছু বলি না হয় শিখি। বাজেট অধিবেশনে এতগুলি দিন আমি আসতে পারিনি। খুব আফশোস হচ্ছিল। আমি জেলে কোনও সুবিধাও নিইনি। ফলে টিভিও দেখতে পাইনি।’