মায়ের মৃত্যুতে প্রায় আড়াই বছর পর পৈত্রিক ভিটেয় রাত কাটালেন শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বুধবার রাতে বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়ার বাড়িতে মৃত্যু হয় অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার অর্পিতাকে ২ দিনের প্যারোল দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে তাঁকে বেলঘরিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ।
আরও পড়ুন - ছবি বিক্রি অতীত, ‘আঁচল পেতে টাকা নেব’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে CPMএর পথে মমতা?
পড়তে থাকুন - ‘বার ডান্সারকে ফ্লাইং কিস TMCর মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের'
বৃহস্পতিবার সকালে মায়ের মৃত্যুর কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্যারোলের আবেদন করেন অর্পিতার আইনজীবী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২ দিনের প্যারোল মঞ্জুর করে আদালত। প্যারোলের নথি পৌঁছয় সংশোধনাগারে। ওদিকে বেলঘরিয়া থানার আধিকারিকরা প্রিজন ভ্যান নিয়ে হাজির হন থানায়। রাতে সংশোধনাগার থেকে বার করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় অর্পিতাকে। এর পর বেলঘরিয়ার দিকে রওনা দেয় গাড়ি।
বাড়ির সামনে প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় কার্যত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল অর্পিতাকে। মুখে ছিল নীল রংয়ের মাস্ক। চোখের কোণে জল। গাড়ি থেকে নেমে সোজা জীর্ণ বাড়িটায় ঢোকেন তিনি। প্রায় ২ বছর ৪ মাস পর বাড়িতে ফিরলেন অর্পিতা। এর পর আড়িয়াদহ শ্মশানে মায়ের শেষকৃত্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্পিতা বলেন, ‘আমাকে কেউ একবার জানাল না। তাহলে মায়ের জন্য একটু ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতাম। আমার দুর্ভাগ্য। আর কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন - বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দায় ঝেড়ে ফেলল অমিত শাহের দফতর
বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়ার পুরনো বাসিন্দা অর্পিতারা। অর্পিতার বাবা ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক। মেয়ের গ্রেফতারির পর মিনতিদেবী জানিয়েছিলেন, তাঁর অকাল প্রয়াণের পর অর্পিতাকে চাকরিতে যোগদান করতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়ের মন ছিল অভিনয়ে। সংবাদমাধ্যমকে মিনতিদেবী বলেছিলেন, ‘আমি জানি ও সিনেমা করে। কয়েকটা সিনেমায় অভিনয় করেছে বলে শুনেছি। এখনকার ছেলে মেয়েরা কথা শোনে না কি? কথা শুনলে তো বিয়েই দিয়ে দিতাম।’