আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ এলাকার উন্নয়ন এবং বিমানবন্দর নিয়েও প্রশ্ন করেন। আবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিমান চলাচল নিয়ে প্রশ্ন করেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী। তখন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জবাবে জানান, হাসিমারাতে রাজ্য সরকারের বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যে আরও একটি বিমানবন্দর হতে চলেছে। আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে এবার বিমানবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ, সোমবার বিধানসভায় এই কথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কোচবিহার, বালুরঘাটের কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী পুরুলিয়াতেও বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর চাউর হতেই রাজ্যে আরও পালক জুড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ এলাকার উন্নয়ন এবং বিমানবন্দর নিয়েও প্রশ্ন করেন। আবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিমান চলাচল নিয়ে প্রশ্ন করেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী। তখন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাবে জানান, হাসিমারাতে রাজ্য সরকারের বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। কোচবিহার এবং মালদা কাজ প্রায় শেষ। অন্ডারে কার্গো এয়ারপোর্ট তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। কেন্দ্রীয় অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রক যত দ্রুত ছাড়পত্র দেবে রাজ্য তত দ্রুতই কাজ করবে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? অন্যদিকে এই বিমানবন্দর নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘কোচবিহার, বালুরঘাটে বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মালদার কাজ শেষ পর্যায়ে। হাসিমারাতেও একটি বিমানবন্দর তৈরি করার হবে। ভাবনাচিন্তা চলছে। অন্ডালে একটি কার্গো বিমানবন্দর চালু করা হবে। বিমানবন্দর তৈরি হবে পুরুলিয়াতেও।’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী আজ বিধানসভায় পাল্টা বিজেপি বিধায়কদের দিকে বল ঠেলে দেন। যাতে তাঁরাও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানান, দ্রুত কাজের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য।
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? কেন্দ্রে যেহেতু বিজেপি সরকার আছে, তাই বাংলার বিজেপি বিধায়কদের সেখানে আর্জি জানাতে বলেন। এতে বেশ চাপে পড়ে যান বিজেপি বিধায়করা। কারণ এই রাজ্যে তাঁদের কাজের তেমন কোনও খতিয়ান এখনও দেখতে পায়নি বাংলার মানুষ। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দর তৈরির জন্য আপনারা দ্রুত দিল্লি থেকে ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করুন। ডবল ইঞ্জিন বিমান চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের জন্য ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আকাশে কার কী ভাগ্যে আছে, সেটা কেউ বলতে পারে না। কেন্দ্রের উচিত ডবল ইঞ্জিন বিমান যাতে চালু করা যায় সেটা ভেবে দেখা।’