ব্যবসায়ীদের বক্তব্য না শুনে, তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে বন্ধ করে দিতে বা ভেঙে দিতে☂ পারে না কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। এমন কিছু করার আগে তাদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে মালিকদের কথা শুনতে হবে। পুরনিগমের নিজস্ব আইনেই তার ꧃উল্লেখ রয়েছে। এই মর্মে কলকাতা পুরনিগমকে তার কর্তব্য ও দায়িত্ব মনে করাল কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বড়বাজারের একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। পরবর্তীত♚ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের রাস্তায় পরিদর্শনে বেরিয়ে কলকাতার রুফটপ রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জানান, ছাদ আটকে এভাবে ব্যবসা করা যাবে ন𒐪া।
এরপরই মাঠে নামে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী, তড়িঘড়ি সেগুলির কাঠামো ভাঙার কাজেও হাত দেওয়া হয়। এর বিরোধিতা করে শহরের একাধিক রুফটপ রেস্♔তোরাঁ ও ক্যাফের মালিক পক্ষ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করে। তাতে প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরনিগমের অভিযান স্থগিত করে দেওয়া হয়।
সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরঙ্গ কান্তের এজলাসে। শুনানিতে মামলাকারীরা জানান, তাঁদের ♋কাছে ব্যবসা চালানোর বৈধ ও আইไনসম্মত অনুমতি এবং অনুমোদন আছে। তাহলে কেন তাঁদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না? কেন এভাবে কাঠামো ভেঙে দেওয়া হবে?
পালটা কলকাতা পুরনিগমের কৌশলী জানান, কলকাতা পুরনিগম যখন ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিল, তখন তারা সেই ♏অনুমোদনে হস্তক্ষেপও করত𝔍ে পারে।
এর জবাবে মালিক পক্ষের🃏 💦আইনজীবী জানান, কীসের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেটা তো জানাতে হবে। কলকাতা পুরনিগম তো রুফটপ রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে মালিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেনি। তাঁদের কথাও শোনেনি!
এরপরই বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত পুরনিগমক🔯ে স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৮০ সালের সংশ্লিষ্ট পুর আইনের ৪০১ নম্বর ধারা অনুসারে, পুর কর্তৃপক্ষকে মালিকপক্ষের কথা শুনতেই হবে। এবং তাঁদের🍸 অসুবিধা ও সমস্যাগুলি বুঝে আলোচনা করতে হবে।
বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, আগামী দু'সপ্তাহ শহরের রুফটপ রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলি বন্☂ধ থাকবে। এবং তা ভাঙার কাজও বন্ধ থাকবে। আর, এই সময়সীমার মধ্যেই মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচন⛦ায় বসে তাদের কথা শুনতে হবে পুরনিগমকে।