CV Ananda Bose: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি, হিংসার অভিযোগ তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপাল বোস। কমিটির নেতৃত্বে এক প্রাক্তন বিচারপতি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি, হিংসার অভিযোগ, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বোসের
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি ও হিংসার অভিযোগ তুলে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজভবনের অভিযোগ যাচাই করার জন্য এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হবে। যার নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্ট বা কলকাতা হাইকোর্টের কোনও এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে ফলে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত আরও চরমে উঠল বলে মনে করা হচ্ছে।
রিপোর্ট কার্ড ও রাজ্যের চিঠি
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে পদ থেকে সারনো নিয়ে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল বুধবার একটি 'রিপোর্ট কার্ড' প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়, 'শিক্ষা দফতরের যে সমস্ত বেআইনি আদেশে যে সমকল উপাচার্য কাজ স্তব্ধ করে রেখেছেন আচার্য তাঁদের সতর্ক করেছেন।'
এর পর পাল্টা চিঠি দিয়ে রিপোর্ট কার্ডের জবাব দেন রাজ্য। রাজ্য জানায় কোনও আলোচনা না করেই একক ভাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরিচালিত করতে চাইছেন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের পুরনো নির্দেশেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। রাজ্যেরও আরও অভিযোগ ছিল, অযোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসাবে রাজ্যপাল নিয়োগ করছেন। এর ফলে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নতিও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যপালের এই বিচারবিভাগীয় তদন্ত নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। সংগঠনের সহ সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘খুব গরম পড়েছে। তাই রাজ্যপালের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিশ্বিবিদ্যালয়গুলিতে যে সুষ্ঠু ভাবে পঠনপাঠন চলছে, তা সহ্য করতে পারছেন না উনি। রাজ্যপাল যতই এই সব করে পঠনপাঠন বন্ধ করার চেষ্টা করুন, আমরা তাঁর এই কাজকে কখনওই সফল হতে দেব না।’
প্রসঙ্গত ওয়েবকুপার সভাকে কেন্দ্রে করেই এই দ্বন্দ্ব তৈরি হয় রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে। সেই সভাতেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সভাতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল একে আদর্শ আচারণবিধি লঙ্ঘণ বলে মন্তব্য করেন।
রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত তাঁর এক্রিয়ার ভুক্ত বলে মন্তব্য করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আর কে দিতে পারেন? শপথগ্রহণ কে করান? মুখ্যমন্ত্রী কি শপথগ্রহণ করান? যিনি চাকরি দেন, তিনিই চাকরি খেতে পারেন। রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, শপথগ্রহণ করানো, নিয়োগ করার। ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তবে তা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ পারেন রাজ্যপালই, মুখ্যমন্ত্রী নন।'