ভয়াবহ আগুন তপসিয়াতে। অন্তত শতাধিক ঝুপড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। কার্যত পথে বসে পড়েছেন অসংখ্য় ঝুপড়িবাসী। সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছেন বহু মানুষ। দাউ দাউ করে জ্বলে যায় একের পর এক ঝুপড়ি।এখানে একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাদের বইপত্রও পুড়ে গিয়েছে। তবে আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে।
ঘটনার কথা জানতে পেরেই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে যান। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ১৫টা ইঞ্জিন আসতে বলেছি। ৭-৮টা ইঞ্জিন কাজ করছে। কিছু অভিযোগ মানুষের রয়েছে। তবে এই এলাকায় কাজ করা অত্যন্ত কঠিন।
এদিকে ভয়াবহ আগুন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা একেবারে দিশেহারা হয়ে যান। পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবরকম চেষ্টা করে পুলিশ ও দমকল। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে দমকল।
এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বার বার বলার পরেও দমকল আসতে কিছুটা দেরি করেছে।
কান্নার রোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন যায়। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগে সব শেষ। কার্যত সব হারিয়ে ফেলেন সাধারণ মানুষ। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দমকল যদি একটু আগে আসত তবে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ক্ষোভ আছড়ে পড়ে এলাকায়। পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ি থেকে জিনিসপত্র বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করেন অনেকেই। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। কান্নায় ভারী হয়ে যায় এলাকা।
একেবারে বিধ্বংসী আগুন। গোটা শহর যখন বড়দিনের উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই সামনে এল এই ভয়াবহ বিপর্যয়। বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন কিছু বাঁচাতে পারিনি। সব শেষ হয়ে গেল। কীভাবে বাঁচবেন তাঁরা কিছুই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। একেবারে হাহাকার ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঝুপড়িতে বহু ভিক্ষাজীবী বাস করেন। তাঁদের ঘর একেবারে দাউ দাউ করে জ্বলে জ্বলে যায়। অনেকেই বলেন, জামাকাপড়, টাকাপয়সা, পরিচয়পত্র সব পুড়ে গিয়েছে। সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।
শীতের রাত আসছে। গোটা কলকাতা মাতবে উৎসবে। কিন্তু এই ঝুপড়িবাসীরা জানেন না কীভাবে সামাল দেবেন তাঁরা। এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা জানেন না কীভাবে শীতের রাতটা কাটাবেন তাঁরা। কারণ যা কিছু জামাকাপড় ছিল সেসবও তো পুড়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা বলেন, দমকল আগে এলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। তবে এবারই প্রথমবার নয়। এর আগেও এখানে আগুন ধরেছিল।