ভারত পাক উত্তেজনা চরমে। একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে 🌜ভারত। তার মধ্য়েই বার বার হামলা করার চেষ্টা করেছে পাকিস🌸্তান। কিন্তু প্রতিবারই ফ্লপ।
এই যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তা নিয়ে এবার মুখ খুললﷺেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহ൩ম্মদ সেলিম।
সংবাদমাধ্য়মে বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ সব সময় প্রাসঙ্গিক। শান্তির জন্য তো বটেই, যুদ্ধের যখন দামামা বাজে তখন রবীন্দ্রনাথকে আরও বেশি করে প্রয়োজন হয়, আমাদের উপমহাদেশে শুধু নয়, এই বিশ্বে, তিনি তো বিশ্বকবি। তিনি যা বলেছেন তা যুগোত্তীর🤡্ণ, কালোত্তীর্ণ। আর এখন যখন বসুধাকে খন্ড করার চেষ্টা করা হচ্ছে তখন বিজ্ঞাপনে হয়তো বলতে পারি উচ্চ যেথা শির, উচ্চ শির তখনই থাকে যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। মানবতাকে বাঁচানোর জন্য রবীন্দ্রনাথের স্মরণ নিতে হচ্ছে। '
মহম্মদ সেলিম বলেন, 'আসলে আঘাত আর প্রত্যাঘাত একটা ধারাবাহিক ব্যাপার। এরকম যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। আজকের বিশ্বে কেউ কারোর দেশ দখল করতে পারে না। তাহলে ইউক্রেনের যুদ্ধ এত দীর্ঘস্থায়ী হত না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্য়ে গোটা বিশ্ব বলছে শান্তির জন্য় আলোচনা করো তাജরপরেও যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ মানে ধ্বংসলীলা। যত বেশি যুদ্ধের দামামা বাজবে ততই বলতে হবে যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করতে হয় যেটা ভারত করেছে, সবাই সমর্থন করেছে, গোটা বিশ্ব সমর্থন করেছে, কিন্তু তারপরে এই যে রিটালিয়েশন, এসকালেসন সেটা ক্রমাগত চলতে থাকে। মিডিয়াতে দেখছি পাকিস্তানের মিডিয়া বলছে তারা ভারত জয় করে নিয়েছে, ভারতের মিডিয়াতে বলছে পাকিস্তান জয় করে নিয়েছে। যুদ্ধ নিয়ে ভিডিয়ো গেম নয়। সীমান্তে যে মানুষ আছেন, জম্মুতে যে মানুষ আছেন তার আগে দিন দেখেছি ত্রাহি ত্রাহি রব হয়। যুদ্ধ তো সেনাদের ꧒মধ্য়ে হয়, কিন্তু আসলে নিরীহ গ্রামবাসী, সাধারণ মানুষ আছেন তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। দুই দেশের সরকারই তাদের দেশের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ থেকে সহনীয় করে তোলার জন্য যে পদক্ষেপ সেটা নিচ্ছে না। কিন্তু একে অপরের জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এজন্য়ই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে হয়। ক্ষুদ্র প্রাচীরের উপরে তাকিয়ে যেমন ধর্মনিরপেক্ষ হতে হয়, তেমনি দেশ নিরপেক্ষ হয়ে দেখতে হয় মানবতার অপমান হচ্ছে নাকি মানবতার জয়গান হচ্ছে।' বললেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।