করোনাভাইরাসের জেরে গত দু’বছরে রেলের আয় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এখন এই সংক্রমণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে। তাই রেলের আয় বাড়াতে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আয় বাড়াতে রেলওয়ে বোর্ড একটি নির্দেশ জারি করেছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, রেলের আয় বাড়ানোর জন্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) থেকে আলাদা করে নিজেদের ফুড প্লাজা, ফাস্ট ফুড সেন্টার এবং রেস্তোরাঁ খুলবে৷কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? রেলওয়ে বোর্ড সূত্রে খবর, এতদিন যাত্রীদের খাবার পরিষেবা দিয়ে থাকত আইআরসিটিসি৷ কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নিজেদের ইউনিট খুলতে ব্যর্থ হয় তারা। তাই মোটা অঙ্কের টাকার লোকসানের মুখ দেখতে হয় রেলকে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। গত ৮ মার্চ জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, ১৭টি জোনাল রেলওয়েকে এমন ইউনিট খোলার জন্য বলা হয়েছে। এমনকী স্টেশনের খালি জায়গা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ নির্দেশিকায় আর কী বলা হয়েছে? এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, আইআরসিটিসি–কে বরাদ্দ করা বেশ কয়েকটি জায়গা এখনও খালি। সেই খালি জায়গায় যাতে ফুড প্লাজা বা রেস্তোরাঁ করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করতে পারলে যাত্রীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না। আবার রেলের আয় বাড়বে৷ তাই এবার জোনাল রেলওয়ের মাধ্যমে রেলওয়ে স্টেশনে যে খালি জায়গা পড়ে রয়েছে সেখানে ফুড প্লাজা, ফাস্ট ফুড সেন্টার এবং রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে৷এই ব্যবস্থা যদি ঘটে তাহলে আইআরসিটিসি সরাসরি প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে যাবে। আর রেল আয় বাড়াতে স্টেশনে এবং ট্রেনে খাবার ব্যবস্থা করবে। সেক্ষেত্রে আইআরসিটিসি’র ভূমিকা কী হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ১০০–১৫০ আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ে বোর্ডের। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।