আজ, মঙ্গলবার এবার উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আগে নিম্ন আদালতে আবেন করেছিলেন। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। একসপ্তাহের ব্য়বধানে আবার আদালতে জামিনের আর্জি জানালেন আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। প্রায় আড়াই মাস আগে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আজ জামিনের আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
এই জামিনের মামলা বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের করেছেন প্রাক্তন ওসি। চলতি সপ্তাহে টালা থানার প্রাক্তন ওসির জামিনের আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা আছে। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে অঞ্জলি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পুজো শেষে একগুচ্ছ ঘোষণা, রইল খোঁচাও
শিয়ালদা আদালতে চলছে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি। গত ১৮ নভেম্বর অভিজিতের হয়ে আদালতে জামিনের সওয়ালে সিবিআইয়ের বয়ানকেই হাতিয়ার করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও তা নাকচ হয়ে যায়। ওই একই যুক্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ধৃত প্রাক্তন ওসির আইনজীবী। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পরে অভিজিৎকে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য সরকার। কোনও সরকারি কর্মী গ্রেফতার হলে এবং ৪৮ ঘণ্টার বেশি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকলে নিয়ম হচ্ছে তাঁকে সাসপেন্ড করা।
এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কিনা সেটাই দেখার। টালা থানার প্রাক্তন ওসি জামিন পেলে চাপ বাড়বে সিবিআইয়ের। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার বলেও দাবি সিবিআইয়ের। তাই অভিজিতের জামিনের বিরোধিতা করছে তারা। টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে বলেন, ‘আমরাও জাস্টিস পেতেই আদালতে এসেছি। এটা মুঘল রাজ নয়। বাদশা বললেই হবে না কে কে জেলে থাকবে। এটা কোর্ট। গ্রেফতারের পর প্রথমদিনে সিবিআই জানিয়েছিল খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়নি। তথ্য নষ্টের সম্ভাবনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর ৭৩ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও কোনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি। নতুন কোনও ধারাও যুক্ত করা হয়নি। কেন জামিন মিলবে না?’