বহু মানুষ এই বিমানবন্দরকে বেছে নেন যাতায়াতের জন্য।এই বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন বিমান চলাচল করে। ফলে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই বিমান বন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। শুধু কলকাতা নয় রূপসী থেকে গুয়াহাটি এবং উত্তর-পূর্বের আরও কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল করে।
রূপসী থেকে বন্ধ বিমান পরিষেবা। প্রতীকী ছবি
কলকাতা ও অসমের মধ্যে আকাশ পথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল রূপসী বিমানবন্দর। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বছর খানেক আগেই কলকাতা থেকে এই বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছিল। তাতে যাত্রীও ভালোই হচ্ছিল। কিন্তু, ১ নভেম্বর থেকে অসমের রূপসী থেকে উড়ান বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রচুর সংখ্যক যাত্রী। তবে দ্রুতই বিমান পরিষেবা চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
সাধারণত অসমের ধুবড়ি, নিম্ন অসম তো বটেই এমনকী কোচবিহার, দিনহাটা এবং আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কলকাতায় আসার ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দর ছিল অন্যতম একটি ভরসার জায়গা। কারণ কোচবিহার থেকে বাগডোগরায় যেতে যে সময় লাগে তার চেয়ে অনেক কম সময় লাগে রূপসী যেতে। ফলে বহু মানুষ এই বিমানবন্দরকে বেছে নেন যাতায়াতের জন্য।এই বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন বিমান চলাচল করে। ফলে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই বিমান বন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। শুধু কলকাতা নয় রূপসী থেকে গুয়াহাটি এবং উত্তর-পূর্বের আরও কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল করে।
বহু পুরনো এই বিমানবন্দরটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বন্দরকে এয়ারফিল্ড হিসেবে ব্যবহার করেছিল ব্রিটিশরা। তারপরে অবশ্য এই বিমান বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সেখানে উড়ান পরিষেবা চালায় বায়ুদূত। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার উড়ান প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালে সেখানে নতুন বিমানবন্দর বিল্ডিং তৈরি করে এবং সেই প্রকল্পের আওতাতেই সেখান থেকে নিয়মিত বিমান পরিষেবা চালানো হয়। সেখানে এতদিন নিয়মিত কলকাতায় আসার বিমান পাওয়া যাচ্ছিল। তবে ১ নভেম্বর থেকে সেখানে বন্ধ রয়েছে।