ইউপিএসসি’র ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস (আইএসএস) পরীক্ষায় বাংলার কৃতীরা সাফল্য পেয়েছে। রাজ্যের কাছে এটা একটা বড় পাওনা। এই পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাংলার দুই যুবক। যা এখন চাউর হয়ে গিয়েছে। জেলার দুই যুবক এমন সাফল্য পাওয়ায় ওখানে এখন এটাই চর্চিত বিষয়। এই দুই যুবকের মধ্যে একজনের বাড়ি আসানসোলে। আর একজনের বাড়ি আউশগ্রামে। আর আইএসএস পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর ওই দুই যুবককে অভিনন্দন জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবার বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলেছে কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি। সেখানে ন্যাকের বিচারে সেরার তকমা পেল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকাল সায়েন্স। এই শিরোপা মেলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর পর দুটি সাফল্য রাজ্যে আসায় এক্স হ্যান্ডেলে তা তুলে ধরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা সমালোচনা করলেও রাজ্যের এই সাফল্য পাল্টা জবাব হিসাবেই উঠে এসেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ ন্যাকের মূল্যায়নে ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে চলল গুলি, রক্তাক্ত বিএসএফ জওয়ান, তুমুল আলোড়ন
এদিকে ইউপিএসসি’র আইএসএস পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী। আর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিল্টু মাজি। এঁদের নিয়েই এক্স হ্যান্ডেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র। বাড়ি ইসমাইল মাদার টেরেজা সরণিতে। পরে কলকাতার আইএসআই থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বাবা প্রদীপ অধিকারী মাইন্স বোর্ড অফ হেলথের কর্মী। মা সুজাতাদেবী গৃহবধূ। আর বিল্টু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে স্নাতক হন। তাঁর বাবা কৃষক। বিল্টু পোস্ট অফিসে চাকরি করার ফাঁকেই চলত পড়াশোনা।
অন্যদিকে ইউপিএসসি পরিচালিত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান হয়েছেন বাংলার দুই ছাত্র। এটাই গর্বের বলে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আমি সিঞ্চন এবং বিল্টুকে অভিনন্দন জানাই। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলার সাফল্য এসেছে। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের যে উৎসাহ দেয়, তার ফল পাওয়া যাচ্ছে। আইএএস ও আইপিএস পরীক্ষাতেও আমাদের পড়ুয়াদের ফল ভাল হচ্ছে। এইসব পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য যুব ও উচ্চাকাঙ্খী পড়ুয়াদের কাছে রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।’ আর ন্যাকের স্বীকৃতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘২০১৮ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকাল সায়েন্সেস অ্যাক্টের সংশোধনের মাধ্যমে দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকশনাল সায়েন্সেসের মোট ছাত্রের ৫ শতাংশ, যাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল তাঁদের টিউশন ফি মুকুব করা হয়েছে।’