সন্তানের সংখ্যা ছয়। নাতি নাতনিদের সংখ্যা ২৩। আর নাতি নাতনিদের সন্ত🅺ানদের সংখ্যা ১০। এমন এক পরিবারের অধিকারী মুর্শিদাবাদে✃র বিশ্বনাথ সরকার ও তাঁর স্ত্রী সুরধ্বনি। সদ্য বিশ্বনাথ সরকারের ১০০ তম জন্মদিন পালন হয়েছে। আর সেই জন্মদিন উপলক্ষ্যে 'ফের একবার' বিয়ে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১০০ তম জন্মদিনের উদযাপন হিসাবে যাঁকে বিয়ে করেছেন বিশ্বনাথবাবু, তিনি তাঁর নিজের স্ত্রী সুরধ্বনি। ১৯৫৩ সালে বিশ্বনাথের হাত ধরে সংসারজীবনে পদার্পণ করেন সুরধ্বনি। এরপর দেখতে দেখতে একসঙ্গে যৌবনকাল পেরিয়ে পা রেখেছেন বার্ধক্যে। কৃষিকাজ দিয়ে শুরু হয়েছিল বিশ্বনাথবাবুর জীবিকার পথ চলা। সুরধ্বনিকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে 🐻জীবনের বহু ধাপ পেরিয়ে, একইসঙ্গে বয়স বেড়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকেও তিলে তিলে উপভোগ করেছেন বিশ্বনাথবাবুও। আর সেই সহধর্মীনিকে ফের একবার বিয়ে করে জীবনের অন্যতম আনন্দের দিনটি উপভোগ করলেন তিনি।

সম্পর্কে কারোর দাদু ঠাকুমা, কারোর প্রপিতামহ। বিশ্বনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে ঘিরে আনন্দের এই মুহূর্তে বাড়িতে ভিড় করেছিল কচিকাচারাও। জমায়েত হয়েছিল সন্তানদের। নাতি পিন্ট মণ্ডল বলছেন, 'যেভাবে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে নতুন কনে আসেন, ঠিক সেভাবে গোটা পর্ব সাজানো হয়েছিল। যেহেতু দাদু -ঠাকুমাকে জিয়াগঞ্জের বেনিয়াপুকুর গ্রামের একই বাড়িতে থাকেন, তাই ঠাকুমাকে ৫ কিলোমিটার দূরে আমাদের পূর্বপুরুষের ভিটা বামুনিয়া গ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়। সেই বাড়িতে ঠাকুমাকে ২ দিন আগেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।' সেই বাড়িতে নাতনিদের হাতে সেজেছেন সুরধ্বনি। এদিকে, বরবেশে ধুতি পাঞ্জাবি পরে সেজেছেন বিশ্বনাথ। বিয়ের দিন রাতে চলেছে ꦐআতস বাজির মেলা। হয়েছে ভুরি ভোজ, হইচই।
সব দেখে বাড়ির কর্তা তথা শতায়ু বৃদ্ধ বিশ্বনাথ সরকার বলছেন, 'প্রায় ৭০ বছর আগে সুরধ্বনিকে বিয়ে করেছিলাম। বুধবার তাঁকে আবারও বিয়ে করি আমার সন্তান, নাতি নাতনি ও তাঁদের সন্তানদের সামনে। আমার ছেলে মেয়েরা ভোজের আয়োজন করেছিল।' বাবা-মায়ের এমন সুন্দর এক দিনে, খুশি সন্তানরাওষ ব🦹ড় মেয়ে আরতি বলছেন, 'খুব ভাগ্যবানরা বাবা মায়ের বিয়ে দেখতে পান, তাও আবার যখন তাঁদের মধ্যে একজন শতায়ু।' পুত্রবধূ গীতা বলছেন, 'দুজনের পুর্নবিবাহের আইডিয়াটা আমার মাথায় এসেছিল।... এমন বিয়ের আয়োজনে সকলে আমায় সমর্থন করেছেন।'