শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দল তাদের শেষ দুই অস্ট্রেলিয়া সফরে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় সম্পন্ন করেছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় বারের জয় আরও বেশি স্মরণীয়। কারণ সেবার চোটের কারণে একাধিক সিনিয়র তারকা জাতীয় দলের হয়ে খেলতেই পারেননি। তা সত্ত্বেও একেবারে নবীন, আনকোড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া ভারতীয় দল যেভাবে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া দলকে ধরাশায়ী করেছিল তা কুর্নিশ যোগ্য। এই সিরিজ জিততে একেবারে শেষ টেস্ট ম্যাচটি শেষ দিনে জিতে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিয়েছিল ভারতীয় দল। তিন দশক পরে গাব্বার অজি দুর্গকে চূর্ণ করে ২-১ ফলে সিরিজ জিতে নিয়েছিল তারা। ভারতের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতের কিপার ব্যাটার ঋষভ পন্ত। যিনি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যাওয়ার পরে বর্তমানে দলে ফেরার লড়াই চালাচ্ছেন। সম্প্রতি পন্ত সেই গাব্বা জয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান সেই জয়ের পরে তিনি নাকি বুঝতেই পারেননি যে কীভাবে জয় উদযাপন করবেন!
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে সেই গাব্বা টেস্টে পন্ত অনবদ্য অপরাজিত ৮৯ রান করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেছিলেন। ঘটনাচক্রে এই টেস্ট সিরিজেই ভারতীয় দল প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কামব্যাক করে এই সিরিজ জয় ছিল নিঃসন্দেহে অবিস্মরণীয় জয়। স্টার স্পোর্টসের তিন বছর আগের সেই সিরিজ জয় নিয়ে সম্প্রতি স্মৃতিচারণ করেছেন ঋষভ পন্ত। আর সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়েই তিনি কার্যত নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন। সেই অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে তিনি নানা অজানা কাহিনি তুলে ধরেছেন।
স্টার স্পোর্টসের এক শো'তে পন্ত জানিয়েছেন, ‘ওই জয় নিয়ে কী বলব আলাদা করে জানি না। আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। ক্রিকেট শুধুমাত্র একটা খেলা নয়। আমার কাছে এটা জীবন। আমার কাছে এটা একটা আলাদা অনুভূতি। ওই ম্যাচটা যারা যারা দেখেছে তারা সবাই যেন ম্যাচটার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আমি বলতে চাইছি এটা নিয়ে আলাদা করেই যেন উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। দলের জন্য এক একটি শট এবং এক একটি ডিফেন্সকে দর্শকরা উৎসাহ দিয়েছে। ওই ধরনের একটা ম্যাচ খেলার অনুভূতিই আলাদা। সবাই একজোট হয়ে গিয়েছিল। সকলেই জয়ের জন্য একজোট হয়ে লড়াই করছিল।বিশেষ করে অশ্বিনের পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। আমি সেই সময়ে সত্যিই বুঝতে পারিনি যে কী করে এই জয়টা উদযাপন করব। আমি ম্যাচটা খেলছিলাম শুধুমাত্র জেতার জন্যই। তবে নিজেকে বেশি উত্তেজিত হতে দিইনি। ম্যাচটা খেলে দারুণ মজা পেয়েছি। আমার জন্য ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আমি টি-২০ ম্যাচ অথবা ওডিআই ম্যাচে খেলার সুযোগ পাইনি। কারণ আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমি ম্যাচটা জেতাতে পারব।’