আইপিএল ২০২৫-এর ২০তম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতেই হার্দিক পান্ডিয়ার দলের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। টস হেরে এদিন বিরাট কোহলিরা প্রথমে ব্যাট করতে নামলে, প্রথম ওভারেই ফিল সল্টকে (০) সাজঘরে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। তবে আরসিবি এক উইকেট হারানোর পরেও, আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করছিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোনও বোলারই বোধহয় এদ🤡িন আরসিবি-র ব্যাটসম্যানদের হাতে মার খেতে বাকি থাকেননি।
প্রথমে ব্যাট করে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২২১ রান করে আরসিবি। দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি এবং অধিনায়ক রজত পতিদার। তবে এই ম্যাচে আরসিবি-কে তাদের প্রাপ্য এক রান দেওয়া হয়নি। আইসিসি-র এক আজব নিয়মের কারণে কেটেౠ নেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর এক রান। এটা নিয়ে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই প্রশ্ন তুলেছেন। আসুন জেনে নিন, কেন আরসিবি-র থেকে এক রান ছ🏅িনিয়ে নেওয়া হল?
কেন কাটা হল আরসিবি-র এক রান?
আরসিবির ইনিংসের শেষ বলেই ঘটেছে ঘটনাটি। জসপ্রীত বুমরাহ এই ওভারে বল করতে এসেছিলেন। এবং তাঁর শেষ বলে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ-এর আবেদন করা হয়েছিল। আম্পায়ার জিতেশকে আউট দেন। জিতেশ ডিআরএস নেন এবং নট আউট হন। কিন্তু এতে কোনও লাভ হয়ন🐼ি আরসিবি-র। কারণ লেগ বাই-এর জন্যও এক রান দেওয়া হয়নি তাদের। আসলে, আইসিসির নিয়ম হল, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বল ডেড হয়ে গেলে, তার পর ব্যাটিং দল কোনও রান করতে পারে না। কিন্তু এই নিয়মটি বিতর্কিত এবং আকাশ চোপড়াও এই নিয়ম নিয়ে প্🙈রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রভাব ফেল🐭তে না পারলে… CSK-র কিংবদন্তি ধোনির অবসর নিয়ে চাঞ্চলꦯ্যকর দাবি PBKS কোচের
বিতর্কিত নিয়ম পরিবর্তনের দাবি
আইসিসির এই নিয়মের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে আলোচনা চলছে। আরসিবি-র এক রান কেটে নেওয়ার পরে, ভক্তরা আরও একবার এই নিয়মের পরিবর্তন করার দাবি তুলেছেন। ভক্তরা ব🤪লছেন, শেষ বলে দুই রানের প্রয়োজন হলে এবং লেগ বাই রান হলে, ব্যাটসম্যান এক রান করতেন। কিন্তু আম্পায়ার যদি আউট দেন এবং ডিআরএসে ব্যাটসম্যান নট আউট হন, তাহলে বলটি ডেড হয়ে যায় এবং দল কোনও রান পায় না। সেক্ষেত্রে তারা ম্যাচটি হেরে যাবে।
বড় স্কোর করল আরসিবি
টস হেরে ওয়াংখেড়েতে এদিন ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তারা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ২২১ রান। বিরাট কোꦏহলিꦉর ৬৭ রান (৪২ বল), দেবদত্ত পাডিক্কালের ৩৭ রান (২২ বল), রজত পতিদারের ৬৪ (৩২ বল), জিতেশ শর্মার ৪০ রানের (১৯ বল) হাত ধরে বড় স্কোর করে আরসিবি। মুম্বইয়ের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট এবং হার্দিক পান্ডিয়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।