শুভব্রত মুখার্জি: যুব এশিয়া কাপের মঞ্চে রীতিমতো চমকপ্রদ একদিনের সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেট ভক্তেরা। এশিয়া ক্রিকেটের দুই অন্যতম শক্তিশালী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান ছিটকে গেল সেমিফাইনালের মঞ্চ থেকেই। ভারতীয় যুব দলকে যখন একদিকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের যুবরা। তখন পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমির শাহি। বাংলাদেশের কাছে ভারতের হার ততটা চমকপ্রদ না হলেও ক্রিকেটে সবেমাত্র প❀া রাখা আমিরশাহির কাছে পাকিস্তানের হারে বিস্মি𝓡ত বিশেষজ্ঞরা। ফলে ভারত এবং পাকিস্তান দলকে হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
এদিন দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। দুবাইতে আইসিসির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে মুখোমুখি হয় দুই দল। এদিন এক লো স্কোরিং থ্রিলারের সাক্ষী থাকেন দর্শকরা। দুটি সেমিফাইনালেই꧒ কার্যত এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আমিরশাহি এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.৫ ওভারে মাত্র ১৯৩ রানে 🌌অলআউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর অধিনায়ক আয়ান আফজল খানের। তিনি ৫৭ বলে করেন ৫৫ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ওপেনার আরিয়ান্স শর্মা এবং এথান ডি'সুজা। আরিয়ান্স ৪৬ এবং এথান ৩৭ রান করে আউট হন। পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট নেন উবেইদ শেখ। তিনি ৪৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে ১৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান দল। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন তাদের অধিনায়ক সাদ বেগের। ৫২ বলে ৫০ রান করেন তিনি। এছাড়াও আজান ওয়াইস ৪১ এবং আমির হাসান ২৭ রান করেন। ফলে ১১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়ে ফাইনালে চলে যায় আমিরশাহি।
অন্যদিকে আরিফুল ইসলামের কাউন্টার অ্যাটাকিং অর্ধশতরান এবং বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার চার উইকেটে ভর করে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এদিনের ২২ গজ ছিল 'ডাবল পেসড'। অর্থাৎ কখনও বল বাউন্স করছিল, আবার কখনও বল নীচু হচ্ছিল। এই উইকেটে প্রথম থেকেই সমস্যায় পড়েন ভারতীয় ব্যাটাররা। মাত্র ৪২.৪ ওভারে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ভারতের হয়ে মুসির খান ৫০ এবং মুরুগান অভিষেক ৬২ রান করেন। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪২.৫ ওভারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আরিফুল ইসলাম মাত্র ৯৪ বলে ৯০ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এদিন ম্যাচে মৃধা ৪১ রানে চার উইকেট নেন। ফলে একটা সময়ে ভারতের স্কোর ছিল ১৩ রানে ৩ উইকেট। সেখান থেকে ৮৪ রানের জুটি গড়ে অভিষেক ꦡএবং মুসির ভারতকে লড়াইতে ফেরান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে অহরার আমিনকে (৪৪) সঙ্গী করে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের♑ জয় কার্যত নিশ্চিত করেন আরিফুল ইসলাম। ফাইনালে আমিরশাহির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।