আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হচ্ছে গোটা দেশে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। এই আবহে নিজের ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন এবার খেলা শেষ। একেবারে বিকেল ৫টা নাগাদ সাদা তাঁতের শাড়ি পরে, পায়ে হাওয়াই চটি দিয়ে মিত্র স্কুলের দিকে এগিয়ে এলো তাঁর কনভয়। গাড়ি থেকে নেমে সকলকে হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গেলেন। আর শরীরী ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জয় সুনিশ্চিত। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বরাবরই সমস্ত ভোটই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল ৫টা নাগাদ দিয়ে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট দেওয়ার আগে যখন তিনি হেঁটে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন তখন রাজপথ জুড়ে স্লোগান উঠল ‘জয় বাংলা’। আর সাধারণ মানুষেরা ভিড় দেখে তিনি মুখে দিলেন হালকা হাসি। বাংলার নাগরিকদেরকে এবাবেই শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখে হালকা হাসি আর হাতে জয়ের চিহ্ন—ভিকট্রি। বুঝিয়ে দিলেন জয় নিশ্চিত। উপস্থিত মানুষজনও বুঝলেন বাংলা থাকছে ‘দিদির’ হাতেই। তখন তাঁরাও উচ্ছ্বসিত হয়ে হাত নাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে অন্তঃসত্ত্বা হয়েও ডিউটি করছেন পুলিশ সুপার, চেনেন এযুগের নিবেদিতাকে?
এদিকে আজ শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হল— উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং দমদম লোকসভা কেন্দ্রে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। এখান থেকেই সাতবার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। আর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন। সুতরাং তাঁর প্রতি বাংলার মানুষের একটা বিরাট আবেগ রয়েছে। এবার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মালা রায়। আগেও এখান থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি।
অন্যদিকে এবার দেশের তামাম বিরোধীরা একজোট হয়েছেন। তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যার মূল কারিগর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটি সভা থেকে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, বিজেপি সরকার আর আসবে না। ৪ জুন বিজেপির পতন অনিবার্য। এবার যেন ভিকট্রি চিহ্ন দেখে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর কথাই মিলতে চলেছে। হালকা হাসি দিয়ে বোঝালেন, এবার খেলা শেষ। অথচ কোনও শব্দ খরচ করেননি তিনি। তবে বাংলার মানুষ তাঁর বার্তা পরিষ্কার বুঝতে পারলেন। যদিও ভোট দেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ বিপুল সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাংলার প্রতি যে বঞ্চনা হয়েছে, তার জবাব মানুষ দেবেন। যার প্রতিফলন ৪ তারিখ দেখতে পাবেন।’