সোমবার চতুর্থ দফায় ভো🤪ট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু, এই দফার ভোটে একটি কেন্দ্রে বিরল ঘটনা ঘটল। এক মহিলাকে শাড়ি বদলে ভোট দিতে আসতে বলল পুলিশ। তাই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের এক নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কালনার একটি বুথে।
আরও পড়ুন: পাঠানের হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ড🅘ারের অর্থ তুল🌺ে দিলেন মহিলারা, কেঁদে ফেললেন প্রার্থী
কী কারণে মহিলাকে পোশাক বদলে আসতে বলল পুলিশ?
আসলে ব্যাপারটা হল-মহিলা হলেন একজন তৃণমূল কর্মী। তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন সদ্য পাটভাঙা শাড়ি পরে। কিন্তু, সেই শাড়ির প্রিন্টের জন্যই ঘটে বিপত্তি। তাঁর শাড়িতে ছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’- এর লোগো। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্প। তা নিয়ে প্রথম থেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে আসছে ব𒐪িরোধীরা। প🍰ুলিশ কর্মীর আশঙ্কা ছিল শাড়িতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লোগো ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। সেই আশঙ্কায় পুলিশ কর্মী ওই মহিলাকে শাড়ি বদলে অন্য শাড়ি পড়ে আসতে বলেছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলার সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মীর তর্কাতর্কি বেঁধে যায়।
মহিলার বক্তব্য, পুলিশকর্মী তাকে শাড়ি পাল্টে আসতে বলায় তিনি অসম্মানিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, কালনার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের চাঁদপুর জিএসএফপিꩲ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ নম্বর বুথে ওই মহিলা ভোট দিতে গিয়েছিলেন। এদিকে, মহিলা এই ঘটনার কথা জানান পূর্বস্থলী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিককে। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। তখন তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ওই পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: 'কয়েকজ🤡ন বিজেপির হাতের পুতুল,' নির্বাচন কমিশনকে সম্মান জানিয়েও নিশানা মমতার
তৃণমূল নেতার বক্তব্য, শাড়ির প্রিন্টে রাজনৈতিক দলের প্রতীক নেই। এটি স💫রকারি প্রকল্প। তাহলে আপত্তি কিসের! তবে বিজেপি আবার দাবি করেছে, যদি তিনি ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসেন তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, শাড়ি পরে যদি বারবার ভোটকেন্দ্রের সামনে ঘোরাঘুরি করেন তাহলে সেটা সমস্যার। কারণ তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন। আর তৃণমূল কর্মী সেটাই করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হবে বলে তৃণমূলের তরফে𒁃 জানানো হয়েছে।