কহো না পেয়ার হ্যায় ছবির হাত ধরে পা রেখেছিলেন বলিউডে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবি করেছেন তিনি। কিন্তু জানেন কি গ্রেসি সিং নন, বরং এই আমিশা প্যাটেলের করার কথা ছিল লাগান ছবিটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমির খানের ছবি থেকে বাদ পড়েন তিনি। কিন্তু কেন? ২৪ বছর পর অভিনেত্রী অবশেষে প্রকাশ্যে আনলেন কারণ।
আরও পড়ুন: সারেগামাপায় 'একমাত্র ভরসা' রূপমকে শ্রদ্ধার্ঘ্য ময়ূরীর, অনুরাগীর পারফরমেন্সে 'আপ্লুত' রকস্টার
কী জানালেন আমিশা প্যাটেল?
গদর এক প্রেম কথা আর লাগান ছবিটি বক্স অফিসে একই সময় মুক্তি পেয়েছিল। আর দুটো ছবিই বিপুল সাড়া পেয়েছিল দর্শকদের। অথচ প্রথমে দুটো ছবিতেই আমিশা প্যাটেলের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যে লাগান ছবিতে তাঁকে আর শেষ পর্যন্ত দেখা যায়নি। 'অতিরিক্ত শিক্ষিত' দেখতে বলেই আশুতোষ গোয়ারিকরের ছবি থেকে বাদ পড়েন তিনি! হ্যাঁ, এমনটাই তিনি সম্প্রতি বলিউড বাবলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
তিনি এদিন জানান যে গদর এক প্রেম কথা ছবিটির জন্য তাঁকে নির্বাচন করা হয়। ডেট ফিক্স হয়। সব ঠিক হয়। তাঁর শিক্ষা, বসা দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা, শরীরী ভাষা এবং অবশ্যই তাঁর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সবটা মিলিয়েই তিনি যে এই চরিত্রের জন্য একেবারেই পারফেক্ট ছিলেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সাকিনা হিসেবে তাঁকেই বাছা হয়।
অন্যদিকে প্রায় একই সময় তিনি লাগান ছবিটির জন্যও নির্বাচিত হন। ডেট ঠিক হয়ে গেলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। যে শিক্ষা, চেহারায় থাকা শিক্ষিত আভিজাত্যের ছাপ তাঁকে গদর এক প্রেম কথা ছবিটি পেতে সাহায্য করে সেই একই কারণেই তিনি বাদ পড়েন লাগান থেকে। সেই ছবির টিমের মনে হয়েছিল তাঁর এই আভিজাত্য কোনও গ্রাম্য মেয়ের মধ্যে থাকতে পারে না। সেই কারণেই তাঁর যে গুণ তাঁকে একটি ছবি পেতে সাহায্য করেছিল, সেই একই গুণের কারণে হারান আরেকটি ছবি।
যদিও আমিশা মনে করেন তিনি যদি সুযোগ পেতেন তাহলে তিনি নিজেকে সেভাবে মানিয়ে গড়ে নিয়ে ভালো অভিনয় করতে পারতেন। যদিও আফসোসও নেই তাঁর এই বিষয়ে। তাঁর মতে গ্রেসি সিং ছবিটিতে দারুণ ভালো কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'একটা আস্ত অস্কার স্পিচ তৈরি করে ফেলেছিলাম', বিনোদিনী নিয়ে কেন এমন বললেন রুক্মিণী?
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, ২০০১ সালের ১৫ জুন গদর এক প্রেম কথা এবং লাগান ছবি দুটো মুক্তি পেয়েছিল। একটা ছবিতে ভারত ভাগ এবং তারপর কী ঘটে সেই আবহে একটি প্রেমের গল্প দেখানো হয়। আরেকটিতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে একটি গ্রাম্য ছেলের লড়াইয়ের কথা দেখা যায়।