৯ অগস্ট আরজি করের ঘ🔯টনার পর উত্তাল হয়েছিল শহর কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল সর্বত্র। বাঙালিদের এহেন প্রতিবাদ চর্চিত হয়েছিল গোটা বিশ্বে। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ মাস। তবে এই মুহূর্তে সেই প্রতিবাদের আগুন কেমন যেন একটা নিভু নিভু করছ! কোথায় গেল সেই প্রতিবাদ, বা প্রতিবাদী মুখগুলো? ফেসবুকের পাতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিচালক-চিকিৎসক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ꦺ।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি?
কমলেশ্বর লেখেন, ‘আর্থিক বিপর্যয় মানেই : আয় কম। সামাজিক বিভাজন মানেই : আস্থা কম। তাই, মদ বেচো, ম্যাসাজ বেচো, লটারি বেচো, ককটেল-পার্টি বেচো, জ্যোতিষ বেচো, রাজনৈতিক বা পরকীয়ার কেচ্ছা বেচো, ধর্ম বেচো, সাজগোজ বেচো, বিনোদন বেচো, খেলাধুলো বেচো, গ্যাজেট বেচো, খেলনা বেচো আর ভয় বেচো। আসলে পালিয়ে🎶 যাবার রাস্তা বেচো। তারপর সুযোগ পেলে নিজেকেই বেচে দাও। চোখ কান রাখলেই এ𓆏গুলো দেখতে পাবেন।’
পরিচালকের আক্ষেপ, 'চোখ কান খোলা নেই। তাই তিলোত্তমার শব আর দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বাবা মা'র কান্না শুনতে 🀅পাচ্ছেন না। অনুভব করতে পারছেন না বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।'
আরজি করের ঘটন𝐆ার পরি গত অক্টোবরের দুর্গাপুজো ও উৎসবে ফেরা নিয়েও নানান কথা হয়েছে। তখনও উৎসবে ফেরা, পুজো নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন এরাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ। সেসময় পরিচালক কমলেশ্বর অবশ্য বলেছিলেন পুজো হোক, তবে উৎসবে তিনি নেই। বলেছিলেন, উৎসবে ভাসার মানসিকতা মানুষের নেই, তাই বিচারের দাবি থাকবেই। কিন্তু কোথায় গেল সেসব? সবকিছু কোথায় যেন থমকে গিয়েছে। আর ক্ষুব্ধ অভিনেতা-পরিচালক কমলেশ্বর তাই প্রশ্ন তুললেন, 'তিলোত্তমার শব আর দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বাবা মা'র কান্না শুনতে পাচ্ছেন না।'
তবে শুধু কমলেশ্বরই নন। কিছুদিন আগেও আরজি করের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন জনপ্রিয় গဣায়ক অরিজিৎ সিং। গায়ক নিজের ব্য়ক্তিগত X অ্যাকাউন্ট থেকে করা একাধিক পোস্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘তিলোত্তমার বিচার? কই?’ লেখেন, ‘আমরা আশাহত, ক্ষুব্ধ এবং অসহায়। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ভ্যান থেকে বলছে , তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।’ সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জিগ্গেস করেছিলেন, ‘সব কোথায় গেল? ভুলে গেল নাকি? আমাদের স্মৃতিশক্তি বড় দুর্বল।’ আর এবার একই প্রশ্ন টেনে তুললেন পরিচালক কমলে🐠শ্বর মুখোপাধ্যায়।