অভিনেত্রী মুনমুন দত্তের দলিত বিরোধী মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও অব্যাহত। তাঁর করা বিতর্কিত পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি পোস্ট শেয়ার করে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাতেও মেটেনি ক্ষোভ। যꩵা প্রমাণ করল মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে তাঁর নামে দায়ের 🔯হওয়া এফআইআর। প্রসঙ্গত, এটা তাঁর নামে তৃতীয় এফআইআর। এর আগে মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা পুলিশের কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে এই বাঙালি অভিনেত্রীর নামে।
সপ্তাহখানেক আগে ইনস্টগ্রাম ভিডিয়োতে মেকআপ টিউটোরিয়াল দিতে গিয়ে দলিত সম্প্রদায় বিরোধী মন্তব্য করে বসেন মুনমুন! ‘ভঙ্গি’ (Bhangi) কথাটি সেই ভিডিয়োতে ব্যবহার করে বসেন মুনমুন। আর তারপরই দলিতꦍ সমাজের মনে আঘাত আনার জন্য গ্রেফতারের দাবি ওঠে সোশ্য🏅াল মিডিয়ায়। ট্রেন্ডিং হয় #ArrestMunmunDutta। দেখে নিন মুনমুনের সেই বিতর্কিত মন্তব্য।
তারপরই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ভিডিয়ো থেকে বিতর্কিত অংশটি সরিয়ে দেন ববিতা ওরফে মুনমুন। আরেকটি পোস্ট করে সকলের কাছে ক♚্ষমা চান।♏ জানান, ভাষার প্রতিবন্ধকতার জেরেই নাকি এমনটা ঘটেছে। একটি লম্বা টুইট-বার্তায় লেখেন, ‘গতকাল আমার পোস্ট করা ভিডিয়োতে একটি শব্দকে ভুলভাবে ব্যাখা করা হচ্ছে। আমি কাউকে অপমান করা, বা নীচু করে দেখানো কিংবা কারুর ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার ইচ্ছা নিয়ে ওই কথা বলিনি। আমার ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার জেরে ওই শব্দটির প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না।’
যদিও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মুনমুনের এই ক্ষমা চাওয়া কারও মন গলাতে পারেনি। বরং, তাঁর নামে জমা হওয়া একের পর এক FIR বলে 🔴দিচ্ছে একজন তারকা হিসেবে ভাষা প্রয়োগের সময় সচেতন থাকা কতটা দরকার। কিছুদিন আগে বিগ বসের প্রাক্তন প্রতিযোগী যুবিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল। জাতিবাদী মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। চলতি সপ্তাহে অভিনেতা রণদীপ হুডার প্রায় ৯ বছর পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বলিউড অভিনেতাকে বর্ণবিদ্বেষী, অপমানজনক লিঙ্গ বৈষম্যমূলক, অশ্লীল ঠাট্টা করতে দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়বতীকে নিয়ে। আর তারপরেই অভিনেতার বিরুদ্ধে সরব হন নেটনাগরিকরা। তাঁকে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্র সংঘের পরিযায়ী বন♓্য প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য প্রচারকের পদ থেকে।