'ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, তিনি ২০২০-তে স্বামীকে হারানোর পর কীভাবে একা বাঁচতে হয় শিখেছেন। স্বামীর স্বপ্নপূরণ করেছেন। সব শেষে দাদার হাত ছোঁয়ার ইন্দ্রাণীর আবেদন ছিল, 'আমি একটু ধরে থাকিনা তোমার হাতটা, মনে হচ্ছে আমার স্বামী তোমার হাতটা ধরে রয়েছে।'
সৌরভের হাত ছুঁয়ে ইন্দ্রাণী
‘১৯৭২-এর জুলাই মাসের অষ্টম দিনে। মা নিরূপা দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেন প্রিন্স অফ কলকাতা। বাবা চণ্ডীদাস মহাশয়ের হাত ধরে হাঁটতে শিখে, দাদা স্নেহাশিসের সঙ্গে ক্রিকেটে আসা। ১৯৯৬-এ অভিষেক হয় টেস্ট ম্যাচে। ১২ বছর পর নেন অবসর, ২০০৮-এ। সবাই তাঁকে বলে ক্রিকেটের মহারাজা। তবে তিনি দাদা বলেই পরিচিত দেশে-বিদেশে। তবে তাঁকে সব্যসাচীও তো বলা যায়!….’
একটানা এই কথাগুলো যিনি বলে যাচ্ছিলেন তিনি 'দাদাগিরি-১০'-এর মঞ্চে এক প্রতিযোগী। সৌরভের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর কৃতিত্ব বর্ণনা করে চলেছিলেন ইন্দ্রাণী। আর তখনই পর্দায় ফুটে উঠছিল সেই মুহূর্তগুলির ছবি। আর ‘দাদা’ তখন মুগ্ধ হয়ে শুনছেন। প্রতিযোগী আরও বলে চললেন…।
তাঁর মুখে উঠে এল ২০০০ সালে সৌরভের অধিনায়ক হওয়ার কথা। উঠে আসে ২০০২ সালে লর্ডসের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সৌরভের জার্সি ওড়ানোর সেই মুহূর্তের কথা। সব শেষে সব কৃতিত্ব মিলিয়ে দিলেন সৌরভের শো 'দাদাগিরি'র সঙ্গে। বললেন, 'এই না হলে আমাদের দাদার দাদাগিরি!'
কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিযোগী ইন্দ্রাণী সান্যাল। খুশি হয়ে এবং কিছু লজ্জা পেয়ে সৌরভ বললেন, ‘Thank you Madam’।