রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। গরম উপেক্ষা করেই প্রচার সারতে ব্যস্ত প্রার্থীরা। তৃণমূলের তিন বারের জয়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এবারও ভরসা রেখেছে দল। অথচ একদম অযাচিত কারণে বৃহস্পতিবার সংসাদ শিরোনামে শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী। এদিন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে প্রচারের হুড খোলা গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন কল্যাণবাবু। আর কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই এবার প্রকাশ্যে শ্রীময়ীর অসুস্থতার খবর! আরও পড়ুন-‘মহিলাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে’, কাঞ্চনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ
হাসপাতালে ভর্তি কাঞ্চনের ‘কচি বউ’। গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অর্থে চোখে পড়েনি শ্রীময়ীর উপস্থিতি। কাঞ্চনকে ঘিরে নয়া-বিতর্কের মাঝেই জানা গেল এল শ্রীময়ী প্রচণ্ড গরমে কাহিল হয়ে পড়েছেন নতুন বউ। ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রাতেই শ্যুটিং, এর জেরেই ডিহাইড্রেশনন হয়ে গিয়েছে তাঁর। সঙ্গে পেটে অসহ্য ব্যাথা, এক ঝটাকায় রক্তচাপ কমে কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটেছিল শনিবার রাতে। এই সময়কে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, ‘শনিবার রাতে শ্যুটিং করে বাড়ি ফেরার সময়ই হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে থাকে। তখন অস্বস্তি হতে থাকে। সারাদিন ORS খেয়েছি। এরপর রবিবার দিন রাতে প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে চোখে ঝাপসা দেখছি। মাথা ঘুরছিল খুব।’
রবিবার রাতে কাঞ্চনের দাদা-বৌদি শ্রীময়ীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ শ্রীময়ী। তাঁর আশা শিগগির বাড়ি ফিরবেন। এই মুহূর্তে সান বাংলার ‘আকাশ কুসুম’ ধারাবাহিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রীময়ী।
বিয়ে বিতর্কের জেরে তৃণমূলে অনেকটাই কোণঠাসা কাঞন, দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে আগেই বাদ পড়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। এবার প্রিয় ‘দাদা’ কল্য়াণের প্রচারসঙ্গী হতে গিয়ে চরম অপমানের মুখে পড়লেন কাঞ্চন। বৃহস্পতিবার সকালে কোন্ননগরে প্রচারে যান কল্যাণবাবু। সেখানে কাঞ্চন তাঁর গাড়ি উঠলেই তৃণমূল প্রার্থী স্পষ্ট জানান, গাড়ি থেকে নেমে যেতে। কারণ গ্রামের মহিলারা কাঞ্চনকে দেখলেই ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি এবং ১০ বছরের ছেলে ওশকে ভুলে হাঁটুর বয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে কাঞ্চনের তৃতীয় বিয়ে ঘিরেই যাবতীয় গণ্ডোগোল।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন. ‘এর আগেও ওনাকে নিয়ে আমি প্রচারে বেরিয়েছিলাম। ওনাকে দেখলে গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিএক্ট করছেন। আমি ওনাকে (কাঞ্চন মল্লিক) আগেই বলে দিয়েছিলাম, গ্রামে এসো না। আর শুধু আমার সঙ্গেই কেন প্রচারে থাকছে? অন্য দিনগুলোও তো ওর প্রচার করা উচিত। তখন তো ও থাকছে না। আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। মানুষের মনকে তো আমায় বুঝতে হবে। আমি তো কোনও ব্যক্তি বিশেষের জন্য নই। আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। ব্যক্তিবিশেষের সুখ বা আনন্দের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না’।