চলছে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-১৬। নিত্যদিনই চর্চায় উঠে আসছে এই শো। এবার এই শোয়ে প্রতিযোগী হিসাবে হাজির ছিলেন কুনওয়ার নিশাত খালিদকে। যিনি কিনা দিল্লির বাসিন্দা, এক জাপানি বহুজাতিক সংস্থার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার। ফাস্টেস্ট ফিঙ্গার ফার্স্ট রাউন্ডে জিতে কৌন বনেগা ক্রোড়পতির হটসিটে বসেন কুনওয়ার। আর সেখানে বসেই আবেগে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘এখানে আসতে আমার ২৫ বছর লেগে গেল…।’
আবেগতাড়িত কুনওয়ার বলেন, ক্রোড়পতিতে আসা ছিল তাঁর স্বপ্ন, তবে তা পূরণ হতে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর কথায়, এখান থেকে আমি যেদিন ফোনটা পেয়েছিলাম সেটা ছিল জুলাই মাস, সেদিনই আমার মেয়ের জন্ম হয়েছিল। দীর্ঘ ১২ বছরের বিবাহিত জীবনে ওই আমাদের প্রথম সন্তান।' এরপরই আবেগে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন দিল্লির কুনওয়ার নিশাত খালিদ। অমিতাভ বচ্চন তখন তাঁকে সান্ত্বনা দিতে দিতে পিঠে হাত বুলিয়ে দেন। বলেন, ‘কান্না বাঁচিয়ে রাখুন, খেলতে হবে তো তাই না? চোখের জল মুছুন…’, বলেই রুমাল এগিয়ে দেন।
নিশাত চোখের জল মোছার পর সেই রুমাল নিজেই চেয়ে নেন অমিতাভ বলেন, ‘দিন আমায় দিন, এই নিন চশমা' বলে সেটাও এগিয়ে দেন। তারপর পিঠ চাপড়ে দিয়ে নিজের জায়গায় ফিরে আসেন শাহেনশা। এরপর বলেন, ‘আমি হয়তবা এর যোগ্য নেই, তবে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ পাল্টা অমিতাভ বলেন, ‘আমাকে ধন্যবাদ দেবেন না, আপনি নিজের যোগ্যতাতেই এই সুযোগ পেয়েছেন।’ এই আবেগঘন মুহূর্ত দেখে চোখে জল এসে যায় নিশাতের স্ত্রীরও।
কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-১৬র এই আবেগ ঘন মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে কমেন্টের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বিগ বি-র এমন নমনীয় ব্যবহারে মুগ্ধ।
এদিন Big B অমিতাভকে সম্মান জানিয়ে তিনি একটা কবিতা আবৃত্তি করেন। তাতে মুগ্ধ হয়ে যান সুপারস্টার। লাজুক হাসি ধরা পড়ে তাঁর ঠোঁটেও।
কুনওয়ার মিঃ বচ্চনকে জিগ্গেস করেন, 'প্রত্যেকেই জীবনে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হন। আপনি অনেক সফল স্যার, তবে আমি নিশ্চিত যে আপনিও নিশ্চয় জীবনে লড়াই করেছেন। কঠিন সময়ে কোনও মানুষের ঠিক কী করা উচিত-বা এড়ানো উচিত? কী আপনাকে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়?'
উত্তরে মিস্টার বচ্চন বলেন, 'আমার কাছে কোনোa সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই, তবে যখনই আমি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই, তখন আমার বাবার কথা ভীষণ মনে পড়ে। অনেক সময় আমি অনুভব করেছি যে জীবন সংগ্রামে পূর্ণ। এমনই এক মুহূর্তে একবার বাবার কাছে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করলাম। বাবুজি সহজভাবে বললেন, 'যব তাক জীবন হ্যায়, তব তাক সংগ্রাম হ্যায়'।