ওম পুরীর প্রথম স্ত্রী সীমা কাপুর 🐼সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁদের বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে সম্পর্কের কঠিন সময় সবটাই নিয়েই তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন। সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে এই জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী তথা বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছেন তিনি তাঁর স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পারেন তখন যখন তিনি গর্ভবতী। কিন্তু তিনি ঠকছেন, স্বামীর অন্য জা𒉰য়গায় সম্পর্ক আছে জেনেও সব কিছু মানিয়ে নেওয়ার, ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কেন পারলেন না, এদিন সেই বিষয়েই মুখ খোলেন সীমা কাপুর, ওম পুরীর প্রথম স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নায়ক-খলনায়ক সব নিজেই! দ্বৈতের বদলে তিনটি চরিত্রে ধꦉরা দেবেন হৃতিক? কৃষ ৪-এ থাকছে আর কোন চমক?
আরও পড়ুন: মানসী-শুভজিতের মধ্যে আছে এক নিবিড় যোগ! ইন্ডিয✱়ান আইডল ছাড়াও দুজনে কীভাবে যুক্ত জানেন?
কী জানিয়েছেন সীমা কাপুর?
এই সাক্ষাৎকারে সীমা জানান সিটি অব জয় ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ই তাঁর এবং ওম পুরীর সম্পর্ক বিগড়াতে শুরু করে। তাঁর কথায়, 'আমার ভালো বন্ধু তথা বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রথম স্ত্রী রেণু সালুজা ওম পুরী আর নন্দিতার সম্পর্কের কথা জানত। 🌱কিন্তু ও বা সুধীর মিশ্র সহ কেউই আমাকে এটার বিষয়💧ে বেশি কিছু জানায়নি যে কী ঘটছে না ঘটছে, বা বিষয়টা কতটা সিরিয়াস। আমার মনে হয়েছিল এই শ্যুটিংয়ের পর ও আবার ওর নিজের জীবনে ফিরে আসবে। আমি ওদের সম্পর্কের কথা অনেক পরে জানতে পারি যখন আমি দিল্লি যাই সেই সময়।'
সীমা জানান ওম পুরী তাঁকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে তিনি অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। কথা বলছেন। তখন তিনি বোঝেন বন্ধুরা যাই বলুক না কেন ওম পুরী নিজে বিষয়টা নিয়ে বেশি সিরিয়াস। সীমা কাপুর জানান, 'ওর সঙ্গে আমার যখন পরে দেখা হয় ও কিছুই বলেনি। আ🃏মি ভেবেছিলাম সব ঠিক আছে। ও শীঘ্রই শহর ছেড়ে দেয়, আর সেই সময়ই আমি হাতে পাই একগুচ্ছ চিঠি, যার মধ্যে প্রেম পত্রও ছিল। সেগুলো দেখে আমি ভেঙে পড়ি। আমি ওকে ডিভোর্স দিতে চাইনি এটা জানার পরেও। সবটা ঠিক করে জিতে চেয়েছিলাম কারণ আমি তখন গর্ভবতী। কিন্তু এটা নিয়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল নন্দিতা। জিনিসটা হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল। উনি অতিরিক্ত মদ্যপান করে শুরু করেন, আর সেটার সুযোগ নিয়ে সিন ক্রিয়েট করত নন্দিতা। তখন একদিন আমি ঠিক করি যে আর নয়, এবার বেরিয়ে যাওয়া উচিত। আমি তাও ভেবেছিলাম যে সব ঠিক হয়ে যাবে। ও হয়তো আমায় মিস করবে। ব্যাপারটা অত সহজ ছিল না।'
তিনি এদিন এও জানান তাঁদের সন্তান যখন মারা যান তখন নিজে আসেননি ওম পুরী বরং সেক্রেটারির হাত দিয়ে ২৫০০০ পাঠিয়ে ছিলেন। সেই টাকা নেননি সীমা। তিনি এদিন এও দাবি করেন যে অভিনেতা নিজে অন্য সম্পর্কে জড়ালেও প্রশ্ন তুলেছিলেꦦন তাঁদের সন্তানের বৈধতা নিয়ে।
আরও পড়ুন: শ্রুতির কোলে💜র খুদে কিন্তু খাদানেও ছিল! দেবের ছবি🌱র কোন চরিত্রে ছিল মনে করতে পারলেন?
প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ওম পুরী এবং সীমা। মাত্র ৮ মাসের বিবাহিত জীবন কাটিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর সাংবাদিক, লꦆেখক নন্দ♏িতা পুরীকে বিয়ে করেন অভিনেতা। ২০১৭ সালে ৬৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি।