সম্প্রতি নন্দিতা পুরী তাঁর প্রয়াত স্বামী ওম পুরীর আত্মজীবনী 'ইমপ্লেসিবল হিরো: দ্য স্টোরি অফ ওম পুরী' নিয়ে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জীবনীতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে উল্লেখ করার জন্য নিজের এবং তাঁর স্বামীর মধ্যে ফাটল সম্পর্কেও সম্বোধন করেন। ♒নন্দিতা, সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রবীণ অভিনেতার সঙ্গে তাঁর মতবিরোধের গল্প সাংবাদিকদের বানানো।
আরও পড়ুন: ('লোকে ভাবে স্নান করি না, আসলে...' হঠাৎ এমন অদ্ভূত কথা কেন বললꦓেন অনন্যা?)
ওম পুরীর জীবনী নন্দিতা সম্পর্কে নন্দিতা পুরী
বইটিতে কিশোর বয়সে যৌন মিলনের কথা প্রকাশ করার জন্য ওম পুরী তাঁর উপর বিরক্ত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এই দাবিগুলি মিথ্যা এবং বিকৃত করা হয়েছে। আমি উইকিপিডিয়ায় বিশ্বাস করি না। একটি বই লেখার ধারণাটি এসেছিল যখন আমি তাঁর সাথে দেখা করি। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে লিখতে হবে। আমার শৈশব চার্লি চ্যাপলিনের মতো। তাঁর কঠিন শৈশব আমাকে কেবল ওম পুরী নয়, পুরো সিনেমা আন্দোলন এবং তাঁর সাথে কাজ করা লোকদের সম্পর্কে লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটি লিখতে আমার ১৬-১৭ বছর সময় লেগেছে, যদিও আরও𒆙 অনেকে তার জীবনী লিখতে চেয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: (‘মিডিয়া আমাকেই উল্টে দোষারোপ করেছিল...’ ক🤡ী নিয়ে এমন বললেন পদ্মপ্রিয়া)
তিনি আরও বলেন, 'তখন আমি জানতে পারি যে অন্য কেউ আছেন যিনি বইটি লিখতে চান। তাই তিনি (অপর সেই ম♚হিলা) বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন এবং তিনি ওমকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন কারণ তার প্রাক্তন স্বামী ওমের সহকর্মী ছিলেন। ওম বলল, ‘আমি নন্দিতাকে না বলতে পারি না। আপনারা দুজনেই লেখেন।’ তার খুড়তুতো ভাই ছিলেন একজন হলুদ সাংবাদিক, গসিপ চলচ্চিত্র লেখক। গোটা ভারতীয় প্রকাশনা থেকে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়। আমাকে একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিল তারা। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে ওমের খারাপ লেগেছে। আমার প্রকাশক রোলি বুকস এবং তেহেলকা অফিস একই বিল্ডিংয়ে ছিল। ওম বলল, ‘ওরা যা খুশি লিখুক।’ তবে আপনি যদি প্রসঙ্গের বাইরে একটি প্যাসেজ টানেন তবে এটি খুব খারাপ শোনাতে পারে। নিজের অতীত নিয়ে কখনও মাথা ঘামাননি ওম। তিনি এ সম্পর্কে খুব স্পষ্ট ছিলেন এবং আমাকে অডিয়োতে সবকিছু দিয়েছিলেন। তখন এই চলচ্চি♍ত্র গসিপ সাংবাদিকরা তা দখল করে নেন। এতে আমাদের মধ্যে কিছুটা বিরক্তির সৃষ্টি হয়েছে।
ওম পুরীর বই নিয়ে বিতর্ক
প্রয়াত অভিনেতার বায়োগ্রাফি 'ইমলিসিবল হিরো: ওম পুরি' নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ কিশোর বয়সে বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়েছিল৷ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অভিনেতার সম্মতি ছাড়াই এই কনটেন্টের অভিযোগ করা হয়৷ ২০০৯ সালে বইটি প্রকাশের পর তোলপাড় পড়ে যায়।💮&nbsꦇp;
ওম পুরি সম্পর্কে
ওম পুরী ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর কাজဣের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি আক্রোশ (১৯৮০), আরোহন (১৯৮২), অর্ধ সত্য (১৯৮৩), সদগতি (১৯৮১) এবং তমাস (১৯৮৭) এর মতো টেলিভিশন চলচ্চিত্রে লেখক-সমর্থিত ভূমিকার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন।