তিন বছর পুরোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল বাংলাদেশের বিতর্কিত🌃 নায়🍌িকা পরীমনির বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের উপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির মামলায় রবিবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত পরীমনিকে সময় না দিয়ে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই তো সোমবার, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নায়িকা।
২০ꦫ২১ সালের ৯ জুন মধ্যরাতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বচসা, তাঁকে সারভিং গ্লাস এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন পরীমনি, অভিযোগ এমনটাই। শনিবার টাঙ্গাইলের এক প্রমোশন্যাল ইভেন্টে পরীমনির উপস্থিতির বিরোধিতা জানায় কট্টরপন্থীরা। বাংলাদেশের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ও হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্টোর উদ্বোধন বাতিল করেন মালিক। এই ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব হন পরীমনি। তার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
ফলে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন অনেকেই। জামিন পেয়ে স্বস্তিতে পরীমনি। তবে আক্ষেপ যাচ্ছে না তাঁর। তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘আমরা তো মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করি। তা হলে কেন এত বাধা আসবে? আমার এটুকুই প্রশ্ন ছিল’। দুই সন্তানের মা পরীমনি। কাছের🌠 মানুষ নানা-কে হারিয়েছেন। শরিফুলে𒆙র সঙ্গে সংসার টেকেনি। এর মাঝেই আইনি ঝামেলায় মানসিক চাপে অভিনেত্রী।
ফেসবুকে ঠিক 💃কী লিখেছিলেন পরীমনি? তিনি লেখেন, ‘এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে? নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি! ইনসিকিউর ফিল হচ্ছে!এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা!মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা!? কি বলার আছে আর ….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে ! তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা ??? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’
তবে কি দেশের ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই পুরোনো মামলায় তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি? গোটা বিষয় নিয়ে আর কথা বাড়াতে চান না পরীমꦆনি। শুধু জানিয়েছেন, ‘কোনও গোষ্ঠী যদি বাধা তৈরি করে তা হলে বলার কিছু নেই। আমি তখনও আবার বলব। কী করব বলুন, কোনও কালেই অন্যায় দেখে চুপ থাকিনি। আগামীতেও থাকব না। আমার গায়ে লাগলে কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। বাকিদের মতো চুপ করে থাকতে পারি না।’