রত্নকে গর্ভে ধারণ করেছেন যিনি, তিনিই তো 'রত্নগর্ভা'। যাঁর হাত ধরেই সন্🍸তানের পথ চলা ও সমাজের চিরায়িত বাস্তব প্রেক্ষাপটে নিজের ছাপ রেখে যাওয়া। যাঁরা সন্তানের গর্বে গর্বিনী, সেই সমস্ত মায়েদেরকে প্রতি বছরই কুর্ণিশ জানায় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স। দেওয়া হয় ‘রত্নগর্ভা’ পুরস্কার। এবার ১১ মে (২০২৫) মাতৃ দিবসে এই 'রত্নগর্ভা' পুরস্কার পেলেন পরিচালক, সমাজকর্মী শতরূপ🎃া সান্যাল।
১১ মে কলামন্দিরে আয়োজিত সেই 'রত্নগর্ভা' অনুꦆষ্ঠান শতরূপা সান্যালের হাতে সেই পুরস্কার তুলে দেন তাঁর🌺 দুই মেয়ে ঋতাভরী ও চিত্রাঙ্গদা। সেই অনুষ্ঠানের বেশকিছু ছবি পোস্ট করে সম্প্রতি ফেসবুকের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেন শতরূপা সান্যাল। একইভাবে মায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন ঋতাভরীও।
শতরূপা সান্যাল লেখেন, ‘গতকাল (১১মে) ছিল মাতৃ দিবস। যথারীতি আমার দুই কন্যার আদর-উপহারে দিন শুরু হয়েছিল। দিনটা শেষ হল এক আশ্চর্য সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে। সন্ধ্যায় কলাকুঞ্জে ছিল বেলঘড়িয়া টাচ-এর মাতৃ বন্দনা ও আইটিসি সোনার বাংলায় BCCI (Bengal Chamber of commerce and industries) এর রত্নগর্ভা সম্মাননা অনুষ্ঠান । আমার নিমন্ত্রণ 𝔍ছিল দুই জায়গাতেই। সফল সন্তানদের মা হিসেবে এই মাতৃদিবসের সম্মাননা , তাও আবার আত্মজাদের হাত থেকে সেই সম্মান পাওয়া- নিশ্চিত এক আশ্চর্য আনন্দের অনুভূতি!’
সঞ্চালক আবীরের প্রশংসা করে শতরূপা আরও লেখেন, 'আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সু🍌দক্ষ সঞ্চালনায় রত্নগর্ভা পুরস্কারের মঞ্চটি যেন ঝলমল করছিল। বাংলা তথা ভারতের গৌরব , কলকাতার ছেলে লিয়েন্ডার পেজ পেলেন লাইফটাইম এচিভমেন্ট পুরস্কার ।তাঁর প্রদত্ত বক্তৃতাটি অসাধারণ দায়িত্বশীল ও দৃঢ় । রেকর্ড করা থাকলে, এখানেই দিতাম, সবার শোনার জন্য । দেশের সঙ্কটময় পর🍌িস্থিতিতে , একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং দায়িত্বশীল নাগরিকের কন্ঠস্বর শুনলাম। এরকম নেতাই আমাদের প্রয়োজন ছিল ।
নিজের কাজকর্মের স্বীকৃতির জন্য বহু সম্মান আমি পেয়েছি । সে- সিনেমার কাজ হোক বা লেখালিখি বা অন্যান্য কাজকর্মের জন্য । কিন্তু, সন্তানদের মা হিসেবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুরস্কার পাওয়া-“ রত্নগর্ভা “ সম্মানে ভূষিত হওয়া- এর অনুভূꦚতিটাই অতুলনীয় ।গতকাল আমি ও আমার দুই মেয়েই বড় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম । সেই ছোট্ট তিতিন পলিন- আমার কমরেড, আমার সহযোদ্ধা, যাদের বুকে করে কঠিন লড়াইয়ের দিনগুলো পার হয়েছি! সেই লড়াইয়ে 🌳ওরাও যে আমার সৈনিক ছিল! আমার সোনা মেয়েরা!
আজ আমার মনে হচ্ছে, আমায় মা -বলে ডাকা সন্তানরা, যাদের প্রতি আমার সস্নেহ ভালোবাসা, যত্ন ও প্রশ্রয় রয়েছে, , যেন তাদের সাফꦅল্যের ঐশ্বর্য আমাকে এইভাবে সম্মানিত করে! যে সাফল্য আমার কাছে সবচেয়ে বড় বলে মনে হয়, তা হল প্রকৃত অর্থে ভালো মানুষ হয়ে ওঠার সাফল্য ।আমার ছেলেমেয়েরা যেন আমাকে সেই সোনার মেডে🔴লটি দেয়, যেটা তাদের বুকে ধুকপুক করছে।'