ঋত্বিকা সেনেরᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ নতুন কাজ বলা ভালো তাঁর প্রথম সিরিজ ‘অভিশপ্ত’ মুক্তি পেয়েছে। মাঝে দীর্ঘদিনের একটা বিরতি নিয়ে ফিরে এলেন ঋত্বিকা। প্রথম সিরিজ থেকে কাজ, ব্যক্তি জীবনের নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানালেন সাক্ষাৎকারে।
প্রথম সিরিজের বিষয়ে আনন্দবাজারকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি সবসময় রানেদা (নিসপাল সিং রানে), অভিমন্যুদা (মুখোপাধ্যায়)-র সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। ওদের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকেই ভালো পরিচয় ছিল। আমি তো বরবাদ ছবিতেও অভিদার সঙ্গে কাজ করেছি। এরপর ওরা যখন আমায় এই সিরিজের প্রস্তাব দেয়,💝 গল্প শোনায় আমি এক কথায় রাজি হ𒊎য়ে যাই।'
কিন্তু ওয়েব সিরিজে ডেবিউ করার জন্য ‘অভিশপ্ত’র মতো একটা সিরিজ বেছে নিলেন কেন? উত্তরে নায়িকা বলেন, 'লকডাউন♕ের সময় যখন টানা বাড়ি ছিলাম তখন সবসময় সিরিজ দেখতাম। আর তখনই তো সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বেশি বেশি থ্রিলার সিরিজ আসত তখন। ভালো লাগতো বেশ। সেই থেকেই থ্রিলার সিরিজে কাজ করার ইচ্ছে জন্মেছিল। এই সিরিজে ভরপুর রহস্য আছে। সঙ্গে অন্ধ কুসংস্কার আর সংস্কারের সুন্দর মিশেল তুলে ধরা হয়েছে।
যেমন? কী ধরনের কুসং🍷স্কারের কথা বলছেন? ঋত্বিকার কথা অনুযায়ী, 'রাস্তায় বেরিয়ে কখনও বিড়াল রাস্তা কাটলে অনেকে সেই সময় মাঝপথেই থেমে যান। এই মানুষের মনগড়া যে একটা ভয় কাজ করে অনেক সময়, সেটার জন্য কী কী হয় বা হতে পারে সেটাও দেখানো হয়েছে এই সিরিজে।'
অনেক ছোট থেকেই কাজ করছেন ঋত্বিকা। ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিক থেকে ‘চ্যালেঞ্জ’র মতো ছবি, ‘১০০ পার্সেন্ট লাভ’ সবই করেছেন। পরবর্তীকালে ‘বরবাদ’, ‘আরশিনগর’-এর মতো ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাজের সঙ্গে পড়াশোনা দুটোকে সামলান কীভাবে? উত্তর তিনি বলেন, 'শুধু🍒 কাজ আর পড়াশোনা না আরও অনেক কিছুই সামলেছি। আমি প্রথমে দমদমের কাছে একটি কনভেন্ট স্কুলে পড়তাম। ওখানে আমায় শিক্ষিকারা থেকে বন্ধুরা সকলে খুব বুলি করত। আমায় হিরোইন বলে ডাকত। আমার ঠোঁট গোলাপি বলে বলতো আমি নাকি লিপস্টিক পরে গিয়েছি। এত মানসিক চাপ পড়ত যে অসুস্থ হয়ে পಞড়ি। তারপর অন্য স্কুলে আমায় ভর্তি করা হয়। আর সেই স্কুল ছাড়ার দিনই আমি বরবাদের জন্য অফার পাই।'
কিন্তু ‘বরবাদ’ বা ‘আরশিনগর’-এর মতো ছবি করেও এভাবে কাজ বিমুখ হয়ে গিয়েছিলেন কেন হঠাৎ করে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি কিন্তু হারিয়ে যাইনি। এই জগতের বাই💛রেও আমার একটা জীবন আছেন আমি তখন নেহাতই ছোট ছিলাম। মাত্র ১৪ বছরে বরবাদ করি। এরপর ক্লাস বাড়ছিল। পড়াশোনার চাপ ছিল। এই তো সবে গ্র্যাজুয়েশন করলাম। এখন যদি আবার আরশিনগর বা শাহজাহান রিজেন্সি ছবিগুলোর মতো চরিত্র পাই নিশ্চয় করব। এখন অভিশপ্ত করলাম। একটা ছবিতে কাজ করব। সেখানে রজতাভদা (দত্ত) থাকবেন।'
ঋত্বিকা কথা প্রসঙ্গে আরও জানান তিনি দক্ষিণ ভারতের ছবি𓂃তেও কাজ করছেন। একই সঙ্গে করছেন পড়াশোনাও। ফলে কাজ থেকে পড়াশোনা সবটা নিয়েই তিনি এখন চরম ব্যস্ত।